খুমেক হাসপাতালের ময়লার ভাগাড়ে ৪৯৫ ডিষ্টিল ওয়াটার

বাবুল আকতার, খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৪, ১০:২৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের ময়লার ভাগাড়ে পাওয়া গেছে ৪৯৫ টি ডিষ্টিল ওয়াটার। তবে হদিস মেলেনি ইনজেকশনের। এ ব্যাপারে সদুত্তর দিতে পারেনি কর্তব্যরত নার্স ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ইনচার্জ। এদিকে জব্দের সময়ে আউটসোর্সিং কর্মীদের তোপের মুখে পড়েন আনসার সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ হাসপাতালের সেবা গ্রহীতারা।
শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে খুমেক হাসপাতালের আবাসিক অফিসার ডা. সুমন রায়ের নেতৃত্বে আনসার সদস্যরা প্রসূতি বিভাগের একটি পরিত্যক্ত রুমের ময়লার স্তূপ থেকে ৪৯৫ টি ডিস্টিল ওয়াটার জব্দ করেন। যা ছিলো বালিশ দিয়ে চাপা দেয়া। তবে ডিষ্টিল ওয়াটার জব্দ করা হলেও হদিস মেলেনি ইনজেকশনের। এদিকে জব্দের সময়ে কন্ট্রাক ক্লিনিং সার্ভিসিংয়ের আউটসোর্সিং কর্মচারী রুমানা ও পাপিয়া তেড়ে আসে আনসার সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীদের দিকে। কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স ও ওয়ার্ডের সাব-ইনচার্জ রন্জু মোহন্ত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। অথচ এরাই কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া টিভির সাক্ষাৎকারে থাকেন সানন্দে এগিয়ে।
আরো পড়ুন: ঝিকরগাছায় টিউবওয়েলে বিষ প্রয়োগ, আতঙ্কিত গ্রামবাসী
রন্জু মোহন্ত বলেন, ময়লার ভাগাড় থেকে শুধুমাত্র ডিষ্টিল ওয়াটার উদ্ধার হয়েছে। তবে ওখানে কিভাবে আসলো, কবে কে রাখলো, তা কিছুই বলতে পারবো না। তিনি আরো বলেন, আপনাদের ফোন করে যিনি তথ্য দিয়েছেন, তার কাছ থেকে বাকি তথ্য জেনে নেন।
ওয়ার্ডের ইনচার্জ সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আমি সদ্য নিয়েছি, কেউ হ্যান্ড ওভারে আমাকে এই ডিষ্টিল ওয়াটারের ব্যাপারে বলেনি। এখানে কিভাবে আসলো, তাও আমি জানি না।
খুমেকের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা আগামীকাল (রবিবার) ওয়ার্ড ইনচার্জসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডাকবো। এ নিয়ে একটা তদন্ত কমিটি হতে পারে। প্রকৃত অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।