অগ্নিকাণ্ডে দুইশ মুরগি পুড়ে খামারির স্বপ্ন ছাই

ঝালকাঠি সদর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪৩ এএম

ঝালকাঠির নলছিটিতে একটি মুরগির খামারে অগ্নিকাণ্ডে ২০০ মুরগি পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। খামারটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে খামারি মোখলেস মল্লিক। ভেঙ্গে গেছে তার স্বপ্ন।
শনিবার (২ মার্চ) রাতে পৌরসভার গৌরিপাশা এলাকার মল্লিক বাড়ির শিমুল মল্লিকের খামারটি পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শিমুল মল্লিক ওই গ্রামের মোখলেস মল্লিকের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নলছিটি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ আলী।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারি মোখলেস মল্লিক বলেন, গভীর রাতে হঠাৎ অনেক জোরে শব্দ (বোম বাস্টের মত) শুনে বাহিরে এসেদেখি আমাদের মুরগির খামারে আগুন জ্বলছে। ডাক চিৎকার দিলে এলাকার লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে ততক্ষণে খামারটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খামারটির মধ্যে কয়েক বছর যাবত মুরগি পালন করে সংসার চালাচ্ছিলেন তিনি। অগ্নিকাণ্ডের সময়ও প্রায় ২০০ দেশী মুরগি ছিলো খামারটিতে। এছাড়া মুরগির খাবারের জন্য গতকাল ১০ মন ধান রেখেছিলেন। কিন্তু আগুন তার সেই মূলধনকে পুড়িয়ে তার সব স্বপ্ন পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে।
তাদের সঙ্গে প্রতিবেশী হারুন মল্লিকের ছেলে জাকিরের সঙ্গে এই খামার নিয়ে দ্বন্দ্ব। তিনি অনেক আগে থেকেই আমাদের হুমকি দিয়েছে। আর গভীর রাতে তারা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তার প্রায় চার লাখ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি সরকারি কোনো সহযোগিতা পেলে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশা করেন।
খামারি মোখলেস মল্লিকের পুত্র বঁধু শাহনাজ বেগম বলেন, খামারটি বানাতে আমরা হারুন মল্লিকের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়েছিলাম। যখন খামারে মুরগি উঠিয়ে ছিলো তখন তাদের নগদ ৯০ হাজার টাকা দিয়ে দেয়া হয়েছে। বাকি ৬০ হাজার টাকার জন্য তারা আগুন দিয়ে খামারটি জ্বালিয়ে দিয়েছে। এতে আমাদের ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত জাকির মল্লিকের পিতা হারুন মল্লিক বলেন, আমার ছেলে জাকির চরমোনাই মাহফিলে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
নলছিটি থানার ওসি মো. মুরাদ আলী বলেন, অগ্নিকাণ্ডে মুরগিসহ খামারে থাকা সবকিছু পুড়ে ছাই হয়েগেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে কেউ লিখত অভিযোগ দিলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।