অঝোর বৃষ্টি, ডুবেছে ফসল, ঘরবন্দী জেলেরা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২০, ০৬:৪১ পিএম

ছবি: প্রতিনিধি

ছবি: এআর সোহেব চৌধুরী

পানিতে ডুবে গেছে জনপদ।
দশদিন ধরে টানা বর্ষণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার উপকূলবর্তী নিম্নাঞ্চল ও বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের হাজারো খেটে খাওয়া চাষি, দিনমজুর ও জেলেরা। টানা বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে শতশত মাছের ঘের ও খামার। ডুবেছে হাজার হেক্টর ফসল ও সবজির ক্ষেত। অঝোর বৃষ্টিতে কাজকর্ম করতে না পেরে অসহায়ভাবে দিনাতিপাত করছে উপকূলের হাজারো জেলে পরিবার।
স্থানীয় সামরাজ ও বেতুয়া স্লুইস ঘাট এলাকার একাধিক জেলে ও মৎস ব্যবসায়ীরা জানান, বাতাস, তুফান ও বৃষ্টির জন্য ঘরবন্দী জেলেরা নদী ও সাগরে যেতে পারছেন না। এছাড়া কয়েক দিন লঞ্চ ও নৌ ট্রলার বন্ধ থাকায় স্থানীয় বাজারসহ বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাজারে মাছ রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে।
[caption id="attachment_238583" align="aligncenter" width="700"]
উপজেলার শশিভূষণ, আঞ্জুরহাট, মানিকা, দক্ষিণ আইচা, দুলারহাট, আসলামপুর, মাদ্রাজ ও আমিনাবাদ ইউনিয়নের সবজি খামারিদের বিভিন্ন সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে স্থানীয় বাজারে সবজির দামও বেড়েছে কয়েকগুণ। চরাঞ্চলের শুটকি পল্লীতেও কর্মহীন হয়ে পড়েছে শতশত কর্মী।
নুরাবাদের শুটকি প্রস্তুতকারক নারায়ণ চন্দ্র জানান, বর্ষার শুরু থেকেই টানা বৃষ্টির জন্য ঘরবন্দী হয়ে আছি। কাজকর্ম না থাকায় এবং বৈরী আবহাওয়ায় শুটকি উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।
[caption id="attachment_238585" align="aligncenter" width="700"]
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার বলেন, ইলিশের ভরা মৌসুমে বৃষ্টিপাতের জন্য চরফ্যাশন উপজেলার প্রায় ২৫ হাজার জেলে নদী ও সাগরে যেতে পাড়ছেন না। স্থানীয় আড়াই হাজার পুকুর ও মাছের ঘের ডুবে যাওয়ায় প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, জেলে ও কৃষকসহ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ২০ টন চাল বরাদ্দ হয়েছে এবং তা বিতরণ করা হচ্ছে।