ডাবুয়াবাসীর দুঃখ লাঠিছড়া খাল, পুনঃখনন দাবি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:৪৩ পিএম

রাউজান ডাবুয়া লাঠিছড়া খাল পুনঃখনন করা শুরু হয়েছে। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় সহকারী কমিশনার (ভুমি) মামনুন আহমেদ অনিক মোনাজাতের মাধ্যমে খাল খনন উদ্বোধন করেন। রাউজান উপজেলার হলদিয়া, ডাবুয়া, চিকদাইর ও পৌর এলাকার উপর দিয়ে প্রবাহিত গ্রামীণ লাঠিছড়া খালটি কৃষি সেচের জন্য জনগুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় চাষাবাদ ও ক্ষেত খামারে বাধা সৃষ্টি করছিল।
খাল সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন জাতীয়, স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইনে প্রকাশিত হলে রাউজানের এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর নির্দেশে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রতিনিধিরা গ্রামীণ খালগুলো পরিদর্শন করেন। খালটি ভরাট ও প্রশস্ততা কমে যাওয়ায় গত ডিসেম্বর ও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে হলদিয়া অংশে খালটি খনন করা হয় আমিরহাট লাঠিছড়ি হতে গর্জনীয়া ব্রিক ফিল্ড এলাকা পর্যন্ত। বর্তমানে এর ওপরের অংশটি খননের বরাদ্দ এসেছে বলে জানান চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম।
এদিকে ডাবুয়ার অংশটি চিপা হয়ে যাওয়ায় বর্ষার পানি নিষ্কাশন সম্ভব হচ্ছিল না। এতে পানিগুলো মানুষের ঘর বাড়িতে উঠে গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করতো। ডাবুয়া লাঠিছড়ি ও কেইচ্যালী খাল দুটির পাশে অসংখ্য শীতকালীন সবজির আবাদ হয়ে থাকে। কিন্তু পানির অভাবে সবজি আবাদে কৃষকরা দুর্ভোগে পড়েন। উপরিভাগে পানি জমে থাকলেও নিচের ভাগে খালের অংশ চিকন হওয়ায় পানি নিচের দিকে আসতে পারেনা।
কৃষক বসু বড়ুয়া বলেন, বর্ষাকালে পানির কারণে ঘরে থাকতে পারি না আর শীত মৌসুমে পানির অভাবে কৃষি, ক্ষেত খামার করতে পারি না। এটি আমাদের এলাকার জন্য বড় দুঃখ। এদিকে খালের পাড়ের বাসিন্দা ব্যবসায়ী সুজন সেন বলেন, লাঠিছড়া খাল খনন করা আমাদের মৌলিক দাবি ছিল। তিনি বলেন খাল খনন করা সরকারের ভাল উদ্যোগ কিন্তু, সঠিক তদারকির অভাবে খাল ভরাট হয়ে যায় বছরের আগেই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম, প্রকৌশলী আশরাফুজ-জামান রিপন, প্রকৌশলী সাহেদ, ঠিকাদার নজরুল,পিন্টু দত্ত, মেম্বার জসিম উদ্দিন, মাওলানা হারুন রশিদ কাদেরী, হলদিয়া ইউপি সচিব মাহবুবুল আলম, চিত্ত বড়ুয়া, রোপন বড়ুয়া প্রমুখ। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) জলবদ্ধতা দূরীকরণ ও সম্পূরক সেচ উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ২ কিলোমিটার লাঠি ছড়া খাল খনন এলাকার কৃষি উন্নয়নে মাইল ফলক বলে উল্লেখ করেন এসিল্যান্ড মামনুন আহমেদ অনিক।