পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড ২৩ বস্তা টাকা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৫৭ এএম

কিশোরগঞ্জের আলোচিত পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স খুলে এবার রেকর্ড ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) দানবাক্সগুলো খুলা হয়। এখন গণনা চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে সকালে দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। আটটি দানবাক্স খুলে রেকর্ড ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন চলছে গণনার কাজ। গণনা শেষে টাকার পরিমাণ বলা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ.টি.এম ফরহাদ চৌধুরী, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর শেখ জাবের আহমেদ, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ভূমি) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাশিতা-তুল ইসলাম, তানিয়া আক্তার, নাবিলা ফেরদৌস, মাহমুদা বেগম সাথী, ফাতেমা-তুজ-জোহরা, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, মাদ্রাসার ১১২ ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর গড়ে উঠেছিল মসজিদটি। এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য। মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবনও।
ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, প্রাথমিকভাবে যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
এলাকাবাসী বলেন, এই মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এই বিশ্বাস থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই দান করে থাকেন।