ব্যবসায় ক্ষতি: হতাশায় যুবকের আত্মহত্যা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৩, ০২:০০ এএম

ছবি: ভোরের কাগজ
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আলিম উল্যাহ (৩০) নামে এক যুবক। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়ার পর মানসিক রোগীর চিকিৎসাপত্র (প্রেসক্রিপশন) দেখে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে পুলিশ। সন্ধ্যা সাতটায় পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফনের কথা হয়।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকাল সাতটায় চুনিমিঝিরটেক গ্রামের মাওলানা আবদুস সোবহান মৌলভী বাড়ির গুয়ামিয়ার সন্তান আলিমউল্যা (৩০) নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরিবারের অপরাপর সদস্যরা তাকে মৃত অবস্থায় দেখে জোরারগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ থানায় নিয়ে যায়। পরে পরিবার আলিম উল্লাহর মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র দেখে পরিবারকে মরদেহ বুঝিয়ে দেন।
আলিম উল্লাহর আত্মীয় ইঞ্জিনিয়ার তারেক আজিজ জানান, বেশকিছু ধরে আলিম উল্লাহ মানসিক ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। তার একমাত্র সন্তান অসুস্থ হলে দীর্ঘদিন তাকে নিয়ে চট্রগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে দৌঁড়াদৌঁড়ি করেন। দীর্ঘদিন টেকেরহাটে ইকরা কম্পিউটারে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সময় দিতে পারেননি তিনি। এর ফলে সৃষ্ট ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না পেরে এবং আগের মতো আয় করতে না পেরে পরিবারের সদস্যদের প্রায়ই তিনি বলতেন রাতে ঘুম আসে না। একটানা ১৫ দিন কেটে না ঘুমিয়ে কাটান। পরবর্তীতে আমাকে কল দিলে আমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মনোরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখাতে বলি। চট্টগ্রাম মেডিকেলের পর চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হাসপাতালে স্থানান্তরিত হন। সেখানেও উন্নতি না হওয়ায় চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে ২১ দিন ধরে চিকিৎসা চলে। দুই মাস চিকিৎসার মানসিক অস্থিরতার চিকিৎসার পর মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন এই মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, পারিবারিক আর্থিক অভাব-অনটনের কথা চিন্তা করে আলিম উল্লাহ মানসিক হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেন। তার বাবা ও স্ত্রী থানায় এসে জানিয়েছেন যে, তাদের কোনো অভিযোগ নেই। এরপর দাফনের জন্য মরদেহ পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।