রাত পোহালেই খুলনা সিটিতে ভোট

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৩, ১২:১১ পিএম

রাত ফুরালেই খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। শনিবার মধ্যরাতে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা শেষ হয়েছে। এরফলে পুরো খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এখন নীরব। নেই কোনো প্রচার-প্রচারণা, মাইকের বিরামহীন শব্দ, মিছিল।
তবে নির্বাচন কমিশন এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। সকাল থেকেই খুলনা মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স থেকে ইভিএম মেশিন সহ নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ শুরু হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, তিন হাজার ইভিএম মেশিন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সাড়ে পাঁচ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্ব পালন করবে। সাধারণ ভোট কেন্দ্রগুলোতে ৭ জন পুলিশ এবং ১৫ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রগুলোতে ২জন করে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার দুপুরের পর থেকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিজিবি সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। নির্বাচনের আগে ও পরে ৪ দিন তারা নির্বাচনের মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন। বিজিবির টহল টিমের সঙ্গে ১১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন জ্বালিয়েছেন, কেসিসি নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তাই আশা করছি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ইভিএম মেশিন সহ নির্বাচন সামগ্রী প্রতিটি ভোটকেন্দ্র পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে ২ হাজার সিসি ক্যামেরায় স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ভোট কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করবেন এমন ৫ হাজার ৪৮৫ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
এদের মধ্যে রয়েছেন ২৮৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১ হাজার ৭৩২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৩ হাজার ৪৬৪ জন পোলিং অফিসার।
নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে নারী ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।
কেসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী এবং ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ জন ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে নগরীর ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ২ জন কাউন্সির বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।