মিরসরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে ১৭টি বসতঘর পুড়ে ছাই

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৩, ০৭:৪৮ পিএম

ভবি: ভোরের কাগজ
মিরসরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে ১৭টি পরিবারের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থরা।
রবিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ১২ টায় উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের পূর্ব মলিয়াইশ গ্রামের কাজিম উদ্দিন হাজ্বী বাড়ীতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় এক কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো।
খবর পেয়ে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট, সামাজিক সংগঠন দূর্বারের সদস্য ও স্থানীয়রা এসে প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন মো. সবুজ, মো. হারুন, মো. সাইফ উদ্দিন, জামসেদ আলম মোবারক, মো. সেলিম, মো. নজরুল ইসলাম, মো. ফখরুল, মো. মামুন, মো. রনি, রিফাত হোসেন, মো. নাছির, মো. আলাউদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, নুরের ছাপা, নুর ইসলাম, ওলি আহম্মদ ও আবদুল খালেকের পরিবার।
জানা গেছে, রবিবার রাত সাড়ে ১২ টার সময় মো. মামুনের রান্না ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে মূহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই বাড়ির ১৫ পরিবারের নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, ফ্রিজ, জায়গা জমির কাগজপত্র সহ প্রায় কোটি টাকা মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। শরীরে থাকা কাপড় ছাড়া কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
মো. মামুন বলেন, আমার একটি গরুর খামার আছে। গরুর জন্য ঋণ নেওয়া নগদ ৭ লক্ষ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন বুঝতেছিনা কি করে ঋণের টাকা পরিশোধ করবো। আরেক ক্ষতিগ্রস্থ জামসেদ আলম বলেন, জায়গার বাউন্ডারি দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে তুলে ঘরে রেখেছিলাম। নগদ ৫০ হাজার টাকা সহ প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে আমার ক্ষতি হয়েছে।
দূর্বার প্রগতি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাসান সাইফ উদ্দিন বলেন, আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের সংগঠনের সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাসহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। কিন্তু ততক্ষণে ওই বাড়ির ১৭ পরিবারের স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র ও আনুষাঙ্গিক জিনিস পত্র ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা ইমাম হোসেন পাটোয়ারী বলেন, খবর পেয়ে আমাদের ২টি ইউনিট গিয়ে প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
তিনি আরও বলেন, অসচেতনতা এবং তীব্র তাপদাহের কারণে অনেকেই রাতে রান্না করতেছেন। এত করে বিভিন্ন গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে।