তাপদাহ উপেক্ষা করে জমে উঠেছে ঈদ কেনাকাটা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:২৮ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
সারাদেশে চলছে তাপদাহ। চৈত্র মাসে রমজানের শেষলগ্নে তাপদাহর সঙ্গে উত্তাপ ছড়ানো ঝাঁঝালো রোদের সঙ্গে তীব্র গরম। তবুও যেন থেমে নেই ঈদের কেনাকাটা।
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে মাগুরার মহম্মদপুরে জমজমাট ঈদ বাজার। এই তাপদাহ উপেক্ষা করে ঈদ মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ঈদের আনন্দটুকু পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে প্রিয়জনের জন্য পছন্দের পোশাক কিনতে ক্রেতাদের ক্লান্তিকর ছুটাছুটি।
উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটে দেখা যায় ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। তবে বেশি ভিড় দেখা গেছে কাপড়ের দোকানগুলোতে। প্রতিদিন সকাল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত চলছে বেচা-কেনা। ঈদে আপনজনকে নতুন পোশাক উপহার দিতে ধনী, দরিদ্র ও হতদরিদ্র সকলেই তাদের সাধ্যমতো কেনাকাটায় ব্যস্ত।
এবারের ঈদে দেশি-বিদেশি সব ধরণের কাপড়ই বেচা-কেনা হচ্ছে। তবে প্রচণ্ড গরমের জন্য সুতি শাড়ি, সুতি থ্রি-পিচ ও টি-শার্টের কদর একটু বেশি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রত্যেকটি শপিংমলে নারী ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। যার যার সমর্থ অনুযায়ী ক্রয় করছে হরেক রকম পোশাক। এবারের ঈদকে সামনে রেখে গ্রাহকদের নজর কাড়তে মার্কেটে নতুন নতুন ডিজাইনের কালেশন সাজিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
এদিকে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে প্রতিযোগিতায় মেতেছে উপজেলার ব্যবসায়ীরা। বাহারি রঙিন আলোক সজ্জায় সাজানো হয়েছে এ সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। অনেকে আবার বিভিন্ন রঙের পোশাক পরিয়ে মার্কেটের সামনে দাড় করে রেখেছে তরুণ-তরুণীর মিনি কুইন। তবে বেশি বিক্রি হচ্ছে মহিলাদের শাড়ি, থ্রিপিচ আর ছেলেদের টি-শার্ট, জিন্স, পাঞ্জাবি-পায়জামা, ফতুয়া, গেঞ্জি ও শিশুদের পোশাকসহ গহনা, পাদুকা এবং প্রসাধনী।
ঈদের কেনাকাটা করতে আশা মো. খলিলুর রহমান বলেন, এই তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ট, তবুও ছেলে-মেয়ে এবং পরিবারের জন্য কাপড়-চোপড় ও প্রসাধনী কিনতে এসেছি।
ক্রেতা ফেরদৌসী আক্তার জলি জানান, এই তাপদাহে বাইরে বের হতে কষ্ট হলেও ছেলে মেয়ে ও আত্মীয়-স্বজনদের জন্য মার্কেটে আসতে হচ্ছে। তবে গত বছর থেকে এ বছর সব মালের দাম বেশি, অনেকের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
উপজেলা ভূমি অফিস মার্কেটের শাহানা বস্ত্রালয় এন্ড লেডিস কর্ণারের স্বত্বাধিকারী মো. নাজমুল হাসান বলেন, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা দেশি ও বিদেশি সব ধরণের পোশাক রেখেছি। তবে রমজান মাসের শুরু থেকে কেনা-বেচা খুব একটা ছিলো না। ১৫ রোজার পর থেকে কেনা-বেচা শুরু হয়েছে। এই কেনা-বেচায় আমরা খুব খুশি, কারণ বিক্রি ভালো হচ্ছে। তবে পুরুষের তুলনায় মহিলাদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে বেশি।