শ্যামনগরে জামায়াত নেতার অনুদানে স্মৃতিসৌধ তৈরি!

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৩, ০৭:৪২ পিএম

ছবি: মেহেদী হাসান মারুফ শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গোপালপুর স্মৃতিসৌধটি তৈরি করতে নাকি জামায়াত নেতা বকুল ২ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে উপজেলা জুড়ে।
বক্তব্যে বলতে শোনা যায়- এই শোনো তোমার ওই স্মৃতিসৌধে আমি দুই লাখ টাকা অনুদান দিয়েছি। বকুলের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বেলা ১১ টায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তার হোসেন এর অফিসে উপস্থিত হয়ে জামায়াত নেতা বকুল ওই ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদেরকে আশ্বস্ত করেন, তিনি বিষয়টি দ্রুততার সহিত খতিয়ে দেখবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবী রঞ্জন মন্ডল, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল মজিদ, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবুল হোসেন ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের কয়েকজন সদস্য।
সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবী রঞ্জন মন্ডল বলেন, জামায়াত নেতা বকুল সাহেব কার কাছে টাকা দিয়েছে সেটা সুস্পষ্টভাবে তাকে বলতে হবে অন্যথায় শ্যামনগরের জনগণের কাছে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধারা এখনো বেঁচে আছি। প্রয়োজনে আমরা ব্যক্তিগতভাবে ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে আবার স্মৃতিসৌধ তৈরি করব। কিন্তু জামাত নেতার টাকায় তৈরি স্মৃতিসৌধে আমরা পুষ্প অর্পণ করতে পারি না। এবং ২৫ মার্চের মধ্যে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
অবসরপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন, ৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান কালীন শ্যামনগর সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এম এ জলিলের ছোট ছেলে সাতক্ষীরা নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিজ্ঞ পিপি ও সদর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু গত ২০ মার্চ ইউনিয়ন পরিষদে মিটিং ডেকে জামায়াত নেতা বকুলের ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান।