পাহাড়তলী বধ্যভূমি থেকে দখলদার উচ্ছেদের দাবি

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:৫৭ পিএম

চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বধ্যভূমি ভূমিখেকোদের কবল থেকে উদ্ধার করে অবিলম্বে বধ্যভূমি কমপ্লেক্স তৈরির দাবিতে মানববন্ধন-সমাবেশ ও প্রতিবাদী নাটক পরিবেশিত হয়। ছবি: ভোরের কাগজ

চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বধ্যভূমি ভূমিখেকোদের কবল থেকে উদ্ধার করে অবিলম্বে বধ্যভূমি কমপ্লেক্স তৈরির দাবিতে মানববন্ধন-সমাবেশ ও প্রতিবাদী নাটক পরিবেশিত হয়। ছবি: ভোরের কাগজ

চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বধ্যভূমি ভূমিখেকোদের কবল থেকে উদ্ধার করে অবিলম্বে বধ্যভূমি কমপ্লেক্স তৈরির দাবিতে মানববন্ধন-সমাবেশ ও প্রতিবাদী নাটক পরিবেশিত হয়। ছবি: ভোরের কাগজ

চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বধ্যভূমি ভূমিখেকোদের কবল থেকে উদ্ধার করে অবিলম্বে বধ্যভূমি কমপ্লেক্স তৈরির দাবিতে মানববন্ধন-সমাবেশ ও প্রতিবাদী নাটক পরিবেশিত হয়। ছবি: ভোরের কাগজ
আদালতের রায় মেনে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি পাহাড়তলী বধ্যভূমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদসহ ‘পাহাড়তলী বধ্যভূমি কমপ্লেক্স’ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামের শহীদ পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধা ও সকল শ্রেণী-পেশার নাগরিকরা।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বিপরীতে অবস্থিত এই বধ্যভূমির সামনে ‘পাহাড়তলী বধ্যভূমি কমপ্লেক্স প্রকল্প বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন, সমাবেশ ও প্রতিবাদী নাটক পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এ দাবি জানানো হয়। সমাবেশ থেকে আগামী ২ মার্চ আদালত ভবন পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়।
[caption id="attachment_409584" align="alignnone" width="1593"]
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের বৃহত্তম বধ্যভূমি হিসাবে চিহ্নিত পাহাড়তলী বধ্যভূমির জমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার জন্য উচ্চতর আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। শুধু তাই নয় বধ্যভূমির এক দশমিক ৭৫ একর জমিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘পাহাড়তলী বধ্যভূমি কমপ্লেক্স’ নির্মাণের জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিলেও চট্টগ্রামের স্থানীয় জেলা প্রশাসন তা রহস্যজনক কারণে বাস্তবায়ন করছে না। অবিলম্বে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে উদ্যোগ না নিলে তা আদালত অবমাননা হিসেবে বিবেচিত হবে।
[caption id="attachment_409585" align="alignnone" width="1600"]

প্রতিবাদী সমাবেশের শুরুতে প্রতিবাদী কবিতা আবৃত্তি করেন আবৃত্তিকার আশিক আরেফিন এবং নাট্যাধার প্রযোজনা প্রদীপ দেওয়ানজী রচিত নাটক অবলম্বনে আহম্মদ কবীর কর্তৃক গ্রন্থিত গীতরঙ্গ ‘ইউএসটিসি বধ্যভূমি’ প্রদর্শিত হয়। গীতরঙ্গটিতে অভিনয় করেন নজরুল ইসলাম তুহিন, জসিম উদ্দিন, জয়া দাশ, মুক্তা বিশ্বাস, মোহাম্মদ নাছির, মোহাম্মদ রাসেল, রুবেল চৌধুরী, মোহাম্মদ সুলতান, মোহাম্মদ আশিক।
আগামী ২ মার্চ সকাল ১০ টায় আদালত ভবন পাহড়ের পাদদেশে অবস্থিত গণহত্যা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবার সদস্যদের অবস্থান শেষে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠিতব্য কর্মসূচিতে সর্বস্তরের জনগণকে অংশগ্রহণের জন্য আয়োজকদের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।