সন্দ্বীপে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২২, ১০:২২ এএম

ছবি: ভোরের কাগজ
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাব প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে উপকূলীয় উপজেলা সন্দ্বীপে। সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে দমকা হাওয়া শুরু হয়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়িবাঁধ এলাকার লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে আসা শুরু করে। রাত সাড়ে আটটার পর থেকে নদীতে পানির উচ্চতা বাড়া শুরু করে। রাত সোয়া নয়টায় জোয়ারের পানি সারিকাইত ও মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিমে বেড়িবাঁধের সমান পর্যন্ত উঠে। সারিকাইত, মাইটভাঙ্গা, মগধরা, মুছাপুর, আজিমপুর ও রহমতপুর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ এলাকার লোকজন বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যায়।
বাতাসের কারণে রবিবারে রাত থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তির পরিমাণ বেড়েছে। তবে আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে সৌরবিদ্যুতের সোলার প্যানেলের মাধ্যমে লাইটের ব্যবস্থা করা হয়।
রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা নদীর কূলের লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনতে কাজ করেছেন। পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন, জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করে যান।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। উপজেলায় ১১২টি আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও ৪টি মুজিব কিল্লা ও ৪০টি স্কুল কলেজকে আশ্রয় কেন্দ্রের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়। ১৬টি চিকিৎসক টিম ও সরকারি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়। পাশাপাশি তিনটি বেসরকারি হাসপাতালকে জরুরি পরিস্থিতিতে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য রাখা হয়। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী টিমের পাশাপাশি পিপিপির ২ হাজার ৯শ ২০ জন স্বেচ্ছাসেবক ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করে।
চারপাশে কোন বেড়িবাঁধ না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত সন্দ্বীপের বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন উরিরচরের তিনটি মুজিব কিল্লাতে প্রায় তিন হাজার মানুষসহ গবাদিপশু আশ্রয় নিয়েছে। পাশাপাশি আশ্রয়ণ প্রকল্প ও তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লোকজন আশ্রয় নিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা জানান, আমাদের মনিটরিং টিম প্রতিটি এলাকায় খোঁজ খবর নিচ্ছে। আমাদের পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্র, চিকিৎসক টিম, স্বেচ্ছাসেবক টিম ও শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে।