বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন হত্যায় জেএমবির ৬ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২২, ০৬:২৩ পিএম

জেএমবি সদস্যদের কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামিকে নেয়া হচ্ছে কারাগারে। ছবি: ভোরের কাগজ
কুড়িগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জেএমবির ৬ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকাল ৩টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল মান্নান এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৬ জন হলেন- জাহাঙ্গীর ওরফে রাজিব ওরফে রাজীব গান্ধী, রিয়াজুল ইসলাম ওরফে মেহেদী, গোলাম রাব্বানী, হাসান ফিরোজ ওরফে মোখলেস, মাহবুব হাসান মিলন ওরফে হাসান, আবু নাসির ওরফে রুবেল। রায় ঘোষণার সময় রিয়াজুল ইসলাম ওরফে মেহেদী বাদে বাকি ৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় আইনের ৩ ধারায় জাহাঙ্গীর, গোলাম রাব্বানী ও হাসানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক। ওই আইনের ৪ ধারায় এই তিনজনকে আবারও ২০ বছরের কারাদণ্ড, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এস এম আব্রাহাম লিংকন আর আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির।
২০১৬ সালের ২২ মার্চ কুড়িগ্রাম শহরের কৃষ্ণপুর গাড়িয়াল পাড়ার কাছে গড়ের পার এলাকায় প্রাতভ্রমণে বের হন ওই এলাকার বাসিন্দা ধর্মান্তরিত মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী। সকাল পৌনে ৭টার দিকে ওই এলাকার আশরাফিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তরে পাকা রাস্তার উপরে হোসেন আলীকে কুপিয়ে হত্যা করে জেএমবি সদস্যরা। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি তাদের আটকের চেষ্টা করলে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে হত্যাকারীরা। ওই দিনই অজ্ঞাতদের আসামি করে কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলা করেন হোসেন আলীর ছেলে রুহুল আমিন আজাদ। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করা হয় সেসময়।