নাসিরনগর উপজেলায় শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা

মোহাম্মদ আব্দুল মাজিদ, নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫৩ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আল-মামুনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী রবিউস সারোয়ার, মেজর আসিফ মোস্তুফা, থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি আদেশ চন্দ্র দেব, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অনাত বন্ধু দাস, প্রেস ক্লাবের সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী, আনসার বিডিপি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) বরুণ সরকার, উপজেলা বিএনপি সভাপতি এমএ হান্নান, সাধারণ সম্পাদক কে এম বশির উদ্দিন তুহিন, জামায়াতে ইসলামের আমীর ছায়েদ আলী বুড়িশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল চৌধুরী, গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহীন, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুতুল রাণী দাস, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক সবুজ, দৈনিক যায়যায় দিনের প্রতিনিধি কেএম আমিনুল ইসলাম, কমপ্লেক্স মসজিদের ইমাম মাওলানা মুখলেছুর রহমান প্রমুখ।
আরো পড়ুন: ৬ দিন বন্ধ থাকবে বুড়িমারী স্থলবন্দর
সভায় উপস্থিত ছিলেন- বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা সেনাবাহিনীর সদস্যরা, সাংবাদিক, রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা, ১২৮টি পূজামণ্ডপ কমিটির নেতারা ও ব্রাহ্মণ (পুরোহিত) কমিটির নেতাসহ সুধীজন।
সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূইয়া বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো ধরনের গুজবে কান না দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে পালন করতে সবার সব ধরনের সহযোগিতা কামনা করছি। আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে। সভায় উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উল্লেখ্য, এই বছর নাসিরনগর উপজেলায় মোট ১২৮টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে জন্য ৫০০ কেজি করে চাউল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।