পাহাড়ে মানুষের অধিকার ফিড়িয়ে দেয়ার আহবান

থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২৫ পিএম

ছবি : ভোরের কাগজ
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ড ও হামলা প্রতিবাদে বান্দরবানে থানচি উপজেলার আদিবাসী ছাত্র সমাজ ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থানচি বাজার প্রবেশ মুখ চৌরাস্তায় থানচি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আদিবাসী ছাত্র সমাজের উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশের আগে বাস স্টেশন মুক্ত মঞ্চ থেকে বিভিন্ন ফেস্টুন ব্যানার লিফলেট নিয়ে খণ্ড খণ্ড বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান ঘুরে বাজারের প্রধান ফটকে জড়ো হয় পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সভাপতি অংসিং মারমা সঞ্চালনায় মেমং মারমা সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সিংওয়াইমং মারমা, জ্যোতি বিকাশ চাকমা, ব্লগার ফ্রান্সিস ত্রিপুরা, এনজিও কর্মী রেংহাই ম্রো, উক্যপ্রু মারমা, মুক্তা ত্রিপুরা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক থং খুমী প্রমুখ।
আরো পড়ুন : পার্বত্য জেলায় সংঘর্ষ: নিহত ৪, আহত অর্ধশতাধিক
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সে ব্রিটিশ আমল থেকে পাহাড়ি-বাঙালিরা সম্প্রীতির মেইল বন্ধনের বসবাস করে আসছিলাম এবং মিলেমিশে থাকতে চাই। কিন্তু বাঙালি হত্যার অভিযোগে পাহাড়িদের দোকান-ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কেন পাহাড়িদের ওপর হামলা-অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা। বক্তারা বলেন, আমাদেরও স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার রয়েছে। কিন্তু একটি মহল সাম্প্রদায়িক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। যদি এই সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ করা না হয় তাহলে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
প্রয়োজনে আমরা ঢাকার উদ্দেশে লংমার্চ করব। পাহাড়ি বাঙালি বিভেদ তৈরি করে পার্বত্য চট্টগ্রামে নীলনকশা বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র কখনোই সফল হবে না। অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার সকল মহলকে আহবান জানালেন পাহাড়ের ছাত্র সমাজের নেতৃবৃন্দ। বিক্ষোভ শোভাযাত্রা ও সমাবেশে তিন শতাধিক পাহাড়ে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেন।
থানচি থানা ওসি (তদন্ত) মো. নাছির বলেন, পাহাড়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে। সে লক্ষ্যে ছাত্ররা প্রতিবাদ জানাবে খাগড়াছড়ি দীঘিনালা মতো বান্দরবানে থানচিতে পুনরায় না ঘটুক তাই আমরা নিরাপত্তা দিয়ে রাখছি।