×

ক্যারিয়ার

বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু হোক ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার পথ চলা

Icon

শাহরিয়ার হাসান

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩২ পিএম

বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু হোক ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার পথ চলা

বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু হোক ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার পথ চলা

   

আমরা জানি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বিষয়গুলো পড়ানো হয়ে থাকে এর মধ্যে বেশির ভাগই ট্র্যাডিশনাল বা গতানুগতিক পড়াশোনা। আমাদের পড়াশোনা অনেকটা বইমুখী। প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা যে পড়াশোনা করে যাচ্ছি সেটি বাস্তব জীবনে কর্মক্ষেত্রে কতটুকু প্রভাব ফেলতে পারে? আমরা বইতে যে মার্কেটিং পড়ি কর্মক্ষেত্রে সেই মার্কেটিং এর প্রয়োগ অনেকটাই ভিন্ন।কর্মক্ষেত্রে সফল হতে প্রয়োজন অন্তত একটি সেক্টরের বাস্তবিক দক্ষতা। 

যেমন, তোমরা যারা বিবিএতে পড়াশোনা করছো অনেকেরই হয়তো কর্মক্ষেত্রে মার্কেটিং এ জব করতে হতে পারে। বর্তমানে মার্কেটিং এর একটি বিশাল অংশ দখল করে নিয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং। তুমি কর্মক্ষেত্রে গিয়ে দেখবে তোমার প্রতিষ্ঠান বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডিজিটাল মার্কেটিংকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই এখন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ইমেইল মার্কেটিং, ডিজিটাল মিডিয়া বায়িং, কন্টেন্ট মার্কেটিং ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। 

আর ডিজিটাল মার্কেটিং মোটেও বইনির্ভর নয় বরং বাস্তবিক। ফলে কর্মক্ষেত্রের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য প্রয়োজন ডিজিটাল মার্কেটিং এর কিছু বাস্তবিক জ্ঞান। যদি তুমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দাও, তাহলে অবশ্যই তুমি কর্মক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে থাকবে। কারণ এই বিষয়গুলো আসলে বই পড়ে শিখাটা কষ্টসাধ্য, তোমাকে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হলে প্র্যাকটিক্যালি কাজ করতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং-এর প্রত্যেকটা বিষয় কিভাবে কাজ করে সেটা তোমাকে জানতে হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই বিষয়গুলো তুমি কিভাবে প্র্যাকটিক্যালি জানতে পারো?  

একটু গুগল সার্চ করলেই তুমি সে সম্পর্কে কিছু জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। ভালো কিছু ব্লগ, ই-বুক কিংবা ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখতে পার। প্রাথমিক কিছু জানার পর তুমি কিছু সার্টিফিকেশন অর্জন করতে পারো যেমন, ফান্ডামেন্টাল অফ ডিজিটাল মার্কেটিং যেটা গুগল থেকে দেয়া হয়। পাশাপাশি ইউডেমি বা কোর্সেরা থেকেও তুমি ভালো কিছু ফ্রি কোর্স পাবে। 

এবার তোমার প্র্যাকটিক্যালি কাজ করার পালা। সেজন্য তোমার নিম্নোক্ত বিষয়গুলো প্রয়োজন। যেমন- বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া আইডি যেমন, ফেসবুক, ইউটিউব, লিংকডইন ইত্যাদি। ডোমেইন/হোস্টিং নেয়ার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট। বিভিন্ন টুলের সাথে পরিচিত হওয়া যেমন, ফেসবুক বিজনেস ম্যানেজার, গুগল অ্যাডস ম্যানেজার, গুগল অ্যানালাইটিক্স, গুগল সার্চ কনসোল, এইচরেফ, এসইএম-রাশ, মেইলচিম্প ইত্যাদি। 

এবার তোমাকে তোমার সোশ্যাল মিডিয়া আইডিগুলোকে সুন্দরভাবে সাজাতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্ট কেমন হওয়া উচিত, টার্গেট কাস্টমার কারা হতে পারে, কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেয়া যায় ইত্যাদি বিষয়ে তোমার একটি ভালো ধারণা থাকতে হবে। 

পাশাপাশি তোমার থাকতে হবে একটি ওয়েবসাইট। এখন ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে সুন্দর ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। তোমার কাছে মনে হতে পারে ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়তো খুব একটা জটিল কাজ কিন্তু আসলে ব্যাপারটি সেরকম নয়। একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারলে তুমি সেখানে কন্টেন্ট পাবলিশ করতে পারবে। কনটেন্টটাকে তুমি এসইও করতে পারবে। সর্বোপরি একটা ওয়েবসাইট তোমার পোর্টফোলিও হিসেবে কাজ করবে। এর মানে হলো তুমি ডিজিটাল মার্কেটিং এর যে কাজগুলো পারো সেটা তোমার ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করতে পারবে। 

ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ কি থাকতেই হবে? 

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ কম্পিউটার থাকতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেশিরভাগ কাজ তুমি ল্যাপটপ বা ডেক্সটপ ছাড়া করতে পারবে না। ফোনে তুমি খুব অল্প বা বেসিক কিছু কাজ ছাড়া তেমন কিছুই করতে পারবে না। 

গুগল/ইউটিউবে সার্চ করা জানতে হবে 

যেকোনো সমস্যার সমাধান ইউটিউব বা গুগল সার্চ করে বের করার দক্ষতা থাকতে হবে, কেননা প্রায় সব সমস্যার সমাধানই ইউটিউব বা গুগলে আছে। অনেকেই আমাকে ম্যাসেঞ্জারে নক দিয়ে একদম খুঁটিনাটি প্রশ্ন করেন। সময় থাকলে অবশ্যই রিপ্লাই দেই। কিন্তু সত্যি বলতে ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার? কোন বিষয়ে দিয়ে কাজ শুরু করা যায়? ডিজিটাল মার্কেটিং এর জব ডিমান্ড কেমন? আসলে এই প্রশ্নগুলো কিন্তু তোমার গুগল থেকেই বের করা উচিত। 

তাছাড়াও, ডিজিটাল দুনিয়ায় কাজ করতে প্রতিনিয়ত তোমাকে অসংখ্য সমস্যায় পড়তে হবে, এই সমস্যাগুলোর উত্তর কিন্তু তোমাকে গুগল/ইউটিউব থেকেই বের করতে হবে। হাজারো সমস্যার সমাধান নিজেকেই বের কর‍তে হবে। তোমাকে কেউ ২/৪ টা বিষয় দেখিয়ে দিতে পারে কিন্তু প্রতিনিয়ত হয়তো কেউ দেখাবে না। 

নিত্য নতুন আপডেটের সাথে পরিচিত হতে হবে

নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হতে হবে এবং ডিজিটাল দুনিয়ার যেকোনো আপডেটের সাথে খাপ খাওয়াতে হবে। অনলাইন দুনিয়া সর্বদা পরিবর্তনশীল তাই আপডেট থাকা ছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং করা কষ্টসাধ্য। কেননা আজকে যে বিষয়টি বহুল ব্যবহৃত আগামীকাল হয়তো তা গুগল হতে নিষিদ্ধের ঘোষণা আসতে পারে।  

শুধু কি তাই, তুমি যদি ফেসবুক বিজনেস ম্যানেজারে কাজ করে থাকো, তবে দেখবে ১ বছর আগের ইন্টারফেসের সাথে আজকের ইন্টারফেসের কোন মিল নেই। কিংবা এসইও এর ক্ষেত্রে ১ বছর আগের গুগলের আপডেট থেকে আজকের আপডেট সম্পূর্ণ আলাদা।  

ভালো ট্রেইনার বা ইন্সটিটিউট 

একটা ভালো ট্রেইনার বা ইন্সটিটিউট থেকে ট্রেনিং নেয়া যেতে পারে বা অনলাইনে Udemy বা Coursera বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ট্রেনিং নেয়া যেতে পারে। যেকোনো ট্রেইনার বা ইন্সটিটিউট হতে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার আগে তার ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই করা নেওয়া উচিত। বাংলাদেশে যারা ডিজিটাল মার্কেটিং শেখায় তাদের অধিকাংশই মানসম্মত ট্রেনিং দেয় না। ফলে ভাল প্রতিষ্ঠান ও ভাল ট্রেইনার না হলে সাফল্য অর্জন করা কঠিন। আমি নাম বলতে চাই না তবে বাংলাদেশেও বেশ ভালো কিছু ট্রেইনার ও ট্রেনিং ইন্সটিটিউট আছে। 

কিছু ফ্রি কোর্স

Google Digital Garage হতে ফ্রি ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা যায় সেখান থেকে সার্টিফিকেটও প্রদান করে। যদিও এটা খুব বেসিক একটা কোর্স। Udemy প্রায়ই বিভিন্ন অফার দেয় ও বিভিন্ন ফ্রি কোর্সও তাদের থাকে। Facebook Blueprint (ফ্রি ভার্সন) হচ্ছে ফেসবুকের অফিসিয়াল ট্রেনিং প্ল্যাটফর্ম। ফেসবুক থেকেও কোর্সে পাশ করে সার্টিফিকেট পাওয়া যায়।

বেসিক ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার পর তুমি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে পারো। যা তোমার প্রোফাইল ও সিভিকে করবে এক কথায় অসাধারণ। সেগুলো হলো- Digital Garage: Fundamentals of Digital Marketing Certification, Google Analytics IQ Certification, Hootsuite Social Media Marketing Certification, Google Ads Certification, YouTube Certification, Facebook BluePrint Certification, Twitter (X) Flight School Certification, HubSpot Email Marketing Certification, Ahrefs Academy, SEMrush Academy  ইত্যাদি। গুগলে সার্চ করলে সবগুলোরই বিস্তারিত পেয়ে যাবে।  

কি শিখে শুরু করবো? 

সবগুলো বিষয় একসাথে প্র্যাকটিস না করে নিজের আগ্রহ আছে এমন একটি বিষয়ে মনযোগী হতে হবে। একটি বিষয় মোটামুটি আয়ত্ব হলে বাকি বিষয়গুলোতে আস্তে আস্তে মনোযোগ দেয়া যেতে পারে। আমি সাজেস্ট করবো প্রথমে ফেসবুক মার্কেটিং দিয়ে শুরু করা। তারপর অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, তারপর গুগল অ্যাডস তারপর এসইও ইত্যাদি। তবে এই সিরিয়াল মেইনটেইন করা আবশ্যক নয়। 

এতগুলো ক্ষেত্রের মধ্যে কোনটি শিখবো?

মনে রাখবে ডিজিটাল মার্কেটিং যারা শিখতে চায় তাদের সবগুলো সেক্টরে কাজ করতে হবে এমনটা নাও হতে পারে। তুমি যদি ভালভাবে শিখতে পারো তবে যেকোনো একটি সেক্টরই তোমার জন্য যথেষ্ট হতে পারে। তবে ফুল স্ট্যাক ডিজিটাল মার্কেটার হলে তা অবশ্যই তোমার ক্যারিয়ারের জন্য ভালো হবে।

মার্কেটারদের সাথে সম্পর্ক রাখা 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে জড়িত প্রফেশনালদের সাথে সম্পর্ক রাখলে খুবই ভালো। তাদের নিকট হতে সাজেশন ও ভালো গাইডলাইন পাবে। তোমার ফেসবুক টাইমলাইনকে ফানি না বানিয়ে তুমি ভালো কিছু পেইজ ও প্রোফাইলকে ফলো করতে পারো। যুক্ত হতে পারো ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত বিভিন্ন গ্রুপে। আশার কথা হচ্ছে বাংলাতেও এখন বেশ ভালো কিছু রিসোর্সফুল গ্রুপ আছে। 

পার্সোনাল পোর্টফলিও 

অনলাইনে ধাপে ধাপে নিজের উপস্থিতি জানান দিতে হবে, যেমন ফেসবুক, ইউটিউবে মিনিংফুল কন্টেন্ট ক্রিয়েট করে বা নিজস্ব পোর্টফলিও ওয়েবসাইট তৈরি করে। এমন কোন ডিজিটাল মার্কেটার পাওয়া দুষ্কর হবে যার অনলাইনে উপস্থিতি নেই। তুমি কোন ক্লায়েন্ট বা প্রতিষ্ঠানের কাজ পেতে চাইলে অবশ্যই তারা তোমার পোর্টফলিও দেখতে চাইবে। তোমার দেখানোর মত কিছু না থাকলে কেনইবা একটি প্রতিষ্ঠান তোমাকে কাজ দিবে? এই পোর্টফলিও শুধু দেখানোর জন্যও না। তোমার কাজের প্র‍্যাকটিসগুলো কিন্তু এই পোর্টফলিও সাইট দিয়ে করে নিতে পারো। 

তোমার পোর্টফোলিও ওয়েবসাইটে হোম পেজ, অ্যাবাউট পেজ, কন্টাক্ট পেজ ও ব্লগ পেজ অন্তত সুন্দরভাবে অপ্টিমাইজ করা উচিত। তারপর সেখানে তুমি যেসব কাজ করেছো তার বর্ণনা দেয়া উচিত। যদি তুমি আগে কোন কাজ না করে থাকো তবে আপাতত পেজগুলো অপ্টিমাইজ করে রাখতে পারো। 

তারপর চেষ্টা করতে হবে তোমার সাইটকে র‍্যাংক করানোর। তোমার হোমপেজ ও ব্লগগুলোকে র‍্যাংক করাতে পারলে সেটিই তোমার দেখানোর মত একটি পোর্টফোলিও হতে পারে। সপ্তাহে অন্তত একটি করে ভালো মানের ব্লগ পাবলিশ করা যেতে পারে। 

মার্কেটপ্লেসে সার্ভিস দেয়া 

অন্তত তিনমাস পূর্ণ শেখায় মনোযোগ দিতে হবে ও পরের তিনমাস প্র্যাকটিস করতে হবে। মোট ছয় মাস হওয়ার পর বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে আইডি খুলে সার্ভিস দেওয়া যেতে পারে। আমাদের দেশের অনেক মানুষই অল্প কিছুদিন শিখে মার্কেটপ্লেসে যাওয়া শুরু করে ফলে তার সার্ভিস খারাপ হয়। ক্লায়েন্ট তাকে নেগেটিভ রিভিউ দেয় ফলে তার মার্কেটপ্লেসে টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে যায়। এতে দেখা যায় ক্লায়েন্ট ও মার্কেটপ্লেস অথোরিটি বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা নেয়। যার ভোক্তভুগী হয় সব বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার। সুতরাং অন্তত ৬ মাস শিখার আগে মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য অ্যাপ্লাই না করাই যুক্তিসঙ্গত হবে।

মার্কেটপ্লেসে ভালো করলে চাইলে ফ্রিল্যান্সিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারো বা ভালো কোম্পানিতে ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে জব করতে পারো।

প্রতিনিয়ত শেখা

মনে রাখবে শেখার কোন শেষ নেই, শেখার কোন বয়স নেই। শেখা ও প্র্যাকটিস অব্যাহত রাখার বিকল্প নেই। ডিজিটাল মার্কেটার হওয়া একটি দীর্ঘমেয়াদী বিষয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় থেকেই শেখা অব্যাহত রাখলে কর্মক্ষেত্রে তুমি সবার চেয়ে এগিয়ে থাকবে। 

লেখক: শাহরিয়ার হাসান, ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজিস্ট, উইডেভস

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App