গুলিস্তানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক, যান চলাচল শুরু

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৬ পিএম

শহীদ নূর হোসেন চত্বর। ছবি: সংগৃহীত
দিনব্যাপী নানা ঘটনা ঘটার আশঙ্কার পর সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। জিরো পয়েন্ট এবং বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউসহ আশপাশের এলাকায় লোক সমাগম কমে গেছে।সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে জানা যায় , জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে ২০-৩০ জনের একটা দল এখন অবস্থান নিয়ে আছে। বাকিরা সড়ক ছেড়ে চলে গেছেন। ফলে গোল চত্বরমুখী চারটি সড়কেই যানবাহন চলাচল করছে।
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেও অল্প সংখ্যক তরুণকে দেখা গেছে। সেখানেও ভিড় নেই বললেই চলে। আশপাশের এলাকায়ও সবকিছু স্বাভাবিক। এদিকে সন্ধ্যা ৭টার কিছুক্ষণ আগে ভিভিআইপি মুভমেন্টের কারণে পুলিশকে জিরো পয়েন্টে-সচিবালয় রোড ক্লিয়ার করতে দেখা গেছে।
এদিন শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। আর তা প্রতিহত করতে সকাল থেকেই পুরো গুলিস্তান এলাকা দখল করে রেখেছিল বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে দিনভরই ছিল টানা টান উত্তেজনা।
তবে সারা দিন জিরো পয়েন্টের আশপাশে আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি। বিকেল ৪টার দিকে মতিঝিল বিআরটিসি বাস ডিপো থেকে ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের ব্যানারে কিছু নেতাকর্মী বিক্ষোভ শুরু করেন। ঝটিকা মিছিল করে কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যানার গুটিয়ে সটকে পড়েন তারা।
অন্যদিকে সকাল থেকে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলে দলে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তবে কর্মসূচি ঘোষণা করলেও আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীকে কার্যালয় বা আশপাশের এলাকায় চোখে পড়েনি। তবে সন্দেহজনক কয়েকজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
আরো পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া নিয়ে সবশেষ যা জানা গেলো
আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল প্রতিহত করতে জিরো পয়েন্টে গণজমায়েত কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের বর্বরতা এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীদের হত্যার কথা স্মরণ করিয়ে দেন হাসনাত। তার মতে, দেশের মাটিতে আবারও রাজনীতি করার আগে গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার হতে হবে। তিনি বলেন, গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বাংলাদেশে রাজনীতির অধিকার নাই।
এ সময় বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের কোনো সুযোগ দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি। হাসনাত বলেন, যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করবে আমরা তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেব।