মনীষী সরদার ফজলুল করিমের স্মরণসভা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ০৮:০০ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
আজীবন সাম্য, মানবতা ও ধর্মনিরপেক্ষতায় আস্থাশীল মনীষী সরদার ফজলুল করিমের (১ মে ১৯২৫ -১৫ জুন ২০১৪) স্মরণে সভা হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে ঢাকায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এ সভা হয়। এটি আয়োজন করে মনীষী সরদার ফজলুল করিম স্মৃতি পরিষদ।
বক্তারা জীবনবাদী বুদ্ধিজীবী সরদার ফজলুল করিমের মানুষের পক্ষে রাজনীতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতা ত্যাগ, পাকিস্তান আমলে এক যুগের জেলজীবন, নিবিড় জ্ঞানচর্চা ও লেখালেখিতে আজীবনের নিষ্ঠা নিয়ে কথা বলেন।সাম্রাজ্যবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে তার সোচ্চার অবস্থান নিয়েও কথা বলেন তারা।
সরদার ফজলুল করিমের মতো হতাশাবিরোধী মনুষ্যত্বের পক্ষের গণবুদ্ধিজীবীর জীবন দর্শন বোঝার চেষ্টা ও তার লেখালেখি পাঠের জন্য তরুণ সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয় এ সভায়।
স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এম এম আকাশ, নায়েমের অধ্যাপক, লেখক মো:মনিরুল ইসলাম রবি, নায়েমের উপপরিচালক অধ্যাপক স্বপন নাথ, প্রথমা প্রকাশনীর পান্ডুলিপি সম্পাদক আনিসুর রহমান।
এছাড়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ড. সাগর তরঙ্গ প্রেরিত একটি লেখা স্মরণসভায় পাঠ করা হয়। ডা. ফওজিয়া মোসলেম তার বক্তব্যে সরদার ফজলুল করিমের জীবনবাদী চিন্তাকে তরুণদের মধ্যে আরো বেশি ছড়িয়ে দেয়ার ওপরে গুরুত্ব দেন।
অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, সরদার ফজলুল করিমের অন্যতম নির্দেশনা হচ্ছে স্বপ্ন দেখতে হবে। সব কিছুকে শুধুই সন্দেহের চোখে দেখা কোন কাজের কথা নয়।
তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে সরদার ফজলুল করিমের লেখার ভিত্তিতে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নূরানা, জাহাঙ্গীর আলম, গবেষক রিতু চক্রবর্তী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাইসা আশরাফ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুস্মিতা বনিক ও মো. জাহিদ হাসান।
সরদার ফজলুল করিম স্মরণসভায় আনুষ্ঠানিক আলোচনা ছাড়া তার অনুরাগী ও সুহৃদেরা মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। স্মরণসভায় কবিতা পাঠ করেন শাহদাত হোসেন নিপু ও ফয়জুল আলম পাপ্পু।
স্মরণসভা পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শান্তনু মজুমদার। সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনি জানান, মনীষী সরদার ফজলুল করিমের নামে একটি ওয়েবসাইট, তার কিছু লেখার ইংরেজি অনুবাদ এবং এ মনীষীর জীবন ও চিন্তার সঙ্গে তরুণদের পরিচয় করে দেয়ার ব্যাপারে কিছু কাজ শুরু হয়েছে।