জেএমআই চেয়ারম্যানসহ দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২০, ১১:১২ এএম

দুদক। ফাইল ছবি।
মাস্ক-পিপিইসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী ক্রয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে এন-95 মাস্ক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জেএমআই-এর চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ও তমা কনস্ট্রাকশনের সমন্বয়কারী মতিউর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৮ জুলাই) সকাল ১০টা ১৫ মিনিট থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবদিন শিবলীর নেতৃত্বে একটি টিম। এর আগে পহেলা জুলাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে চিঠি দেয়া হয়। সেই তলবী নোটিশে সাড়া দিয়ে আজ সকাল দশটায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তারা হাজির হয়।
তলবি নোটিশে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার নিমিত্তে নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে অন্যান্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে বর্ণিত অভিযোগ বিষয়ে তাদের বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। নোটিশে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়, নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগসংক্রান্ত বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই বলে গণ্য হবে। এছাড়া নোটিশে তলবকৃতদের রেকর্ডপত্রসহ সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় হাজির হতে অনুরোধ করা হয়েছিল।
জেএমআই এর চেয়ারম্যান ও তমা কনস্ট্রাকশন এর প্রধান সমন্বয়কারী ছাড়াও আরও তিন ঠিকাদারকে তলব করা হয়। তারা হলেন- এলান করপোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমিন, মেডিটেক ইমেজিং লিমিটেডের পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির এবং ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের চেয়ারম্যান ও লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ ও টেকনোক্র্যাট লিমিটেডের মালিক মো. মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু। এর মধ্যে মো. আব্দুর রাজ্জাক, মো. মতিউর রহমান ও আমিনুল ইসলাম আমিনকে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া মো. হুমায়ন কবির ও মো. মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে।
মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্যবহৃত এন-৯৫ মাস্ক ও পিপিইসহ বিভিন্ন সুরক্ষামূলক সামগ্রী ক্রয় দুর্নীতির হোতাদের ধরতে গত ১৫ জুন চার সদস্যের টিম গঠন করে দুদক। তার আগে গত ১০ জুন দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এক জরুরি বৈঠকে করোনাকালে এম-৯৫ মাস্ক, পিপিইসহ বিভিন্ন সুরক্ষামূলক সামগ্রী ক্রয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি-প্রতারণা বা জাল জালিয়াতির অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।