রাজধানীতে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ ‘রিং অব ফায়ার’

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০১:৪৩ পিএম

পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সময়। ছবি: ভোরের কাগজ।

পূর্ণ সূর্যগ্রহণের কিছুক্ষণ আগ মুহুর্ত। ছবি: ভোরের কাগজ।

পূর্ণ সূর্যগ্রহণের আগমুহুর্তে। ছবি: ভোরের কাগজ।

কাঁসার প্লেটে সূর্যগ্রহণ দেখছে শিশু আলিনা। ছবি: ভোরের কাগজ।
বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ ‘রিং অব ফায়ার’ সকাল সোয়া আটটা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে শেষ হয়েছে। বলয়গ্রাসের সময় চাঁদ সূর্যকে পুরোপুরি ঢাকতে পারে না, তাই সূর্যের চারপাশে রিং বা চুড়ির মতো দেখা যায়।
বৃহস্পতিবারের (২৬ ডিসেম্বর) এটি বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ। সারাদেশসহ বিদেশেও যেমন- ভারত, নেপাল মালেয়শিয়া, পাকিস্তানেও মানুষ খুব সহজেই নিজ চোখে উপভোগ করেছে এ সূর্যগ্রহণ।
[caption id="attachment_189924" align="aligncenter" width="700"]
খালি চোখে আকাশের দিকে তাকালে মনে হয় যেন, একটা পাত্রে পানি টলমল করছে। তবে কয়েক সেকেন্ডের বেশি খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়। সূর্যগ্রহণের সময় চাঁদ সূর্যের সামনে চলে এসে ধীরে ধীরে ঢেকে ফেলে সূর্যকে। শীতকাল হলেও আকাশ সামন্য মেঘাছন্ন রয়েছে। তারপরেও সূর্যগ্রহণ উপভোগ করতে পেরেছে মানুষ।
[caption id="attachment_189925" align="aligncenter" width="700"]

সূর্যগ্রহণের সময় সূর্য থেকে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণ অতিবেগুনি রশ্মি ছড়ায়। তাই অনেকে সূর্যগ্রহণ দেখতে কাঁসার পাত্রে পানি থেকে শুরু করে কাজে না লাগা এক্স-রে প্লেট দিয়েও সূর্যগ্রহণ দেখেছে। এছাড়াও বের হয়েছে সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য বিশেষ চশমা।
সূর্যগ্রহণ বলতে মূলত এখানে চাঁদ সূর্যের বরাবর আসায় সূর্য চাঁদের আড়ালে চলে যায়। চাঁদের অবস্থানের ওপর নির্ভর করে কখনো চাঁদ পুরোপুরি অথবা কখনো আংশিকভাবে সূর্যকে আড়াল করে। একেই আমরা যথাক্রমে পূর্ণ ও আংশিক সূর্যগ্রহণ বলি। সূর্য চাঁদের চেয়ে ৪০০ গুন বড় হওয়ার পরেও চাঁদ সূর্যকে আড়াল করে দিতে পারে। সূর্য যেমন চাঁদ অপেক্ষা ৪০০ গুন বড় ঠিক তেমনিভাবে সূর্য পৃথিবী থেকে চাঁদের চেয়ে ৪০০ গুন দূরে অবস্থিত হওয়ায় এটি সম্ভব।