রিজভী
রাজনীতিবিদরা কী বলবেন এটা কি উপদেষ্টারা শেখাবেন?

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৩০ পিএম

কোকোর মৃত্যুবার্ষিকীতে বনানী করবস্থানে করব জিয়ারতে রিজভী। ছবি : ভোরের কাগজ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদরা কোন বিষয়ে কথা বলবেন, কোনটাকে সমর্থন করবেন আর কোনটাকে নয় এটা কি উপদেষ্টারা শেখাবেন?
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে বনানী করবস্থানে করব জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আমরা সকল ঘটনা অতিক্রম করে বুক চিতিয়ে বছরের পর বছর রাজপথে থেকেছি। কোনটাকে সমর্থন করতে হবে আর কোনটাকে নয়, আর কোন বিষয়ে কথা বলতে হবে এটি কি উপদেষ্টারা এসে প্রাজ্ঞ বিজ্ঞ রাজনীতিবিদের শিখাবেন?
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে রিজভী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কেজিপ্রতি ২ টাকা থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্যবৃদ্ধিতে সরকারের দৃষ্টিহীনতা নিয়ে কি সমালোচনা করা যাবে না? সরকারের প্রশাসন যদি নিরপেক্ষভাবে কাজ না করে তার জন্য কি সমালোচনা করা যাবে না? তাহলে কিসের ভয় দেখান যে ১/১১ এর পুনরাবৃত্তি হবে।
আরো পড়ুন : সরকারের ভেতর থেকে রাজনৈতিক দল গঠন প্রসঙ্গে রিজভীর অভিযোগ
তিনি বলেন, জিয়া পরিবার থেকে শুরু করে দেশের আপামর জনতার এতো ত্যাগ, আত্মদান এতো রক্ত ঝরেছে শুধু একটু মুক্ত নিঃশ্বাস নেয়ার জন্য। তার ফলশ্রুতিতে ৫ আগস্ট বাংলাদেশ কাঁপানো, পৃথিবী কাঁপানো একটি বিজয় দেখেছি। এই আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে। সব গণতন্ত্রকামী দল এই সরকারকে সমর্থন দিয়েছে।
অবাধ নির্বাচন নিয়ে এতো দ্বিধা কেন, এতো গড়িমসি কেন উল্লেখ কতে রিজভী বলেন, জনগণের প্রত্যাশা এই সরকার নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। যখন শুনি আগে সংস্কার পরে নির্বাচন, এ যেন মনে হয় শেখ হাসিনার সেই প্রতিধ্বনি- আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র। কোনো উপদেষ্টার কাছে এটা শোভা পায় না। যে গণতন্ত্রের জন্য ১৬ বছর ধরে এ দেশের জনগণ অপেক্ষা করেছে, লড়াই করেছে, রক্ত দিয়েছে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে। সেই অবাধ নির্বাচন নিয়ে এতো দ্বিধা কেন, এতো গড়িমসি কেন? এটাই জনগণের জিজ্ঞাসা।
তিনি বলেন, আমাদের সকল আস্থা আপনার ওপর দেয়া হয়েছে। তাহলে এতো গড়িমসি কেন। কেন শেখ হাসিনার কথার পুনরাবৃত্তি হবে- আগে সংস্কার পরে নির্বাচন। আমরা এই কথা শুনতে চাই না। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, যুগের পর যুগ ধরে সংস্কার হতে পারে। এর জন্য গণতন্ত্রের যে প্রক্রিয়া, গণতন্ত্রের প্রবাহমান এটাকে আটকিয়ে রাখবেন কেন?
তিনি বলেন, আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সারা বাংলাদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছিলো। মায়ের কোলে মৃত সন্তানের মাথা দেখে এ দেশের কোটি কোটি মানুষ কেঁদেছে। শেখ হাসিনার বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতায় একজন সন্তানের সৎকারের সুযোগ দেয়া হয়নি।