চলতি বছরেই জাতীয় নির্বাচন জরুরি: বিএনপি

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৪ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যকর করে ২০২৫ সালের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করা অত্যন্ত জরুরি বলে মত দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের বৈঠকের পর দলের অবস্থান তুলে ধরেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে আমির খসরু বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নির্বাচন কবে হবে, কীভাবে হবে, এবং প্রস্তাবিত সংস্কারগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে চলতি বছরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত। নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা জরুরি।”
তিনি আরো বলেন, অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কোনো দেশ দীর্ঘদিন চলতে পারে না। এমন সরকারের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক থাকে না এবং কোনো ফিডব্যাক পাওয়া যায় না। তাই যত দ্রুত সম্ভব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যাওয়া দরকার।
সংস্কারের ব্যাপারে দলের অবস্থান
সংস্কার বিষয়ে আলোচনা তুলে ধরে আমির খসরু বলেন, কিছু বিষয়ে দ্রুত ঐকমত্যে পৌঁছে কাজ শুরু করা সম্ভব। তবে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না, সেগুলো আগামী নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে সংসদে উপস্থাপন করা হবে। সেখানে আলোচনা, বিতর্কের মাধ্যমে সমাধান হবে।
অর্থনীতি এবং ইইউর বিনিয়োগ
বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়েও আলোচনা হয়। ইইউর সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে ঘিরে বিএনপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে।
আমরা স্পষ্ট করেছি, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের অর্থনীতিকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিতে আমাদের কর্মসূচি কার্যকর করা হবে। বর্তমান সরকারের সময় নেয়া কোনো ইতিবাচক উদ্যোগও আমরা সমর্থন করব, বলেন খসরু।
ইউরোপীয় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের আমরা স্বাগত জানাই। বিএনপি ক্ষমতায় এলে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা হবে।
বৈঠকে উপস্থিত নেতারা
এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি বিশ্বাস করে, প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যকর করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।