জামায়াত আমিরের সেই বক্তব্যে যা বললেন মেজর হাফিজ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪২ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা ভেবেছিলাম এখন একটা সুযোগ এসেছে; এই সুযোগে তারা (জামায়াত ইসলামী) একাত্তরের ভূমিকা নিয়ে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইবে। সেটি না করে তারা একাত্তরে তাদের ভূমিকাকে জাস্টিফাই করছে এবং দেশপ্রেমিক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধই জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অহংকার’ শীর্ষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে অন্য কোনো কিছু তুলনা করা যায় না। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধই সবকিছুর ওপরে। আমরা মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত হতে দেব না এবং এ বিষয়ে বিভক্তি সৃষ্টি করার প্রচেষ্টাও সফল হবে না।
তিনি বলেন, জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এদেশে দেশপ্রেমিক শুধু সামরিক বাহিনী ও জামায়াতে ইসলামী। এই বক্তব্য আমাদের আহত করেছে। সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গড়ে ওঠা একটি বাহিনী, যা জনগণের পাশে থেকে দেশকে স্বাধীন করেছে।
জামায়াতের বক্তব্যে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম তারা একাত্তরের ভূমিকা নিয়ে ক্ষমা চাইবে। কিন্তু তারা উল্টো নিজেদের ভূমিকা জাস্টিফাই করছে। এটি গ্রহণযোগ্য নয়।
শেখ হাসিনার ভারতে থাকার প্রসঙ্গে মেজর হাফিজ বলেন, ভারত শেখ হাসিনাকে দেশে আশ্রয় দেবে এবং বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ব্যবহার করবে। এ ধরনের পদক্ষেপ বন্ধ না হলে ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখার সুযোগ থাকবে না।
তিনি বলেন, কিংস পার্টি গঠন নিয়ে যে প্রচেষ্টা চলছে, তা সফল হবে না। জনগণের কাছে গিয়ে তাদের সমর্থন নিয়ে কাজ করুন। নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণের মতামত প্রতিফলিত হবে।
আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে মেজর হাফিজ বলেন, নির্বাচন নিয়ে যারা ভয় পাচ্ছেন, তারা জনগণের মতামত থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। আমরা চাই নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক।
অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ। সচিবালয়ে কেন বারবার আগুন লাগে, তা এখনো উদঘাটন করা হয়নি।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।