নির্বাচন দিতে কেন দুই বছর লাগবে, প্রশ্ন দুদুর

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৪ পিএম

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচন দিতে দুবছর লাগবে কেন, প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচা কচি কাঁচার মেলায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোটের ১৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার নাগরিক প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
দুদু বলেন, যে জাতি এক মাসের মধ্যে ১৬ বছরের জঞ্জাল শেষ করতে পারে, তাৎক্ষণিকভাবে সেসব ঘটনার মীমাংসা করতে পারে, তাহলে কেন দুবছর লাগবে নির্বাচন দিতে? পরশুদিন ভোট দেন, দেখবেন চমৎকার নির্বাচন হয়ে গেছে। কারণ হাসিনা তো দেশে নাই। হাসিনা থাকলে তার পুলিশ থাকবে, দোসররা থাকবে। হাসিনা নাই, খারাপ লোকটাও ভালো হওয়ার চেষ্টা করবে।
তিনি ছাত্র যুবক তরুণদের প্রতি আস্থা ব্যক্ত করে বলেন, তারা অসাধ্যকে সাধন করেছে। আমাদের কেন তাদের ওপর নির্ভর করবো না? তারাই নির্বাচনে পাহারা দিবে এবং দেশের সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে দুদু বলেন, সংস্কারের কথা হচ্ছে। কিসের সংস্কার? চোরেরা লুটেরা যেখানে বসেছিল সেখানেই বসে আছে। তাদের সরাতে গেলে তো ১৫ বছর লাগবে। তাহলে ১৫ বছর নির্বাচন হবে না? আগে নির্বাচনটা করেন, জনগণ কম বোঝে না। আপনারা কাজ করুন।
দুদু দেশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিকল্প প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তার ব্যক্তিত্ব, উদারতা এবং ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে তার ব্যাখ্যা এক কথায় চমৎকার।
আরো পড়ুন: রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই যথেষ্ট
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, ড. সুকমল বড়ুয়া, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কৃষক দলের নেতা সাদি, এবং দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনসহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দ। সভাটি সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক রেজাবুদৌলা চৌধুরী।