প্রেমের টানে শ্রীলঙ্কার যুবক দশমিনায়, অতঃপর বিয়ে

বিপুল কর্মকার, দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম

ছবি: ভোরের কাগজ
প্রেমের টানে সুদুর শ্রীলঙ্কা থেকে দিলশান মাদুরাঙ্গা নামের এক যুবক পটুয়াখালীর দশমিনায় এসেছেন তার প্রেমিকার কাছে। প্রেমিকা সুবর্না আক্তার প্রেমের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ করেছেন।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) শ্রীলংকান ওই যুবক পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের মধ্য বাঁশবাড়িয়া গ্রামে তার প্রেমিকার বাড়িতে ছুটে আসেন। প্রেমিক দিলশান মাদুরাঙ্গা এবং প্রেমিকা সুবর্ণা আক্তার জর্ডানের একটি গার্মেন্টসে একই সঙ্গে চাকরি করতেন। সেখানেই তাদের প্রথম পরিচয় হয়। এরপর তাদের সম্পর্ক প্রেমে রুপান্তরিত হয়। মাসখানেক আগে প্রেমিকা সুবর্ণা আক্তার বাংলাদেশের তার গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। এরপর গত বৃহস্পতিবার প্রেমিকা দিলশান মাদুরাঙ্গাও যোগাযোগের মাধ্যমে প্রেমিকার বাড়িতে চলে আসলে তাদের উভয়ের সম্মতিতে বিয়ে হয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্য গছানী গ্রামের নিজাম উদ্দিন সিকদারের মেয়ে সুবর্ণা পাঁচ বছর আগে জর্ডানে যান কাজের সন্ধানে। সেখানে গিয়ে একটি পোশাক কারখানায় কাজ পান তিনি। একই পোশাক কারখানায় কাজের সুবাধে শ্রীলংকার কুরুনাগাল জেলার দুমমলচুরিয়া থানার ন্যাবটাকা উডুবাগদা গ্রামের লাকমালের ছেলে দিলশান মাদুরাঙ্গার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। দিলশান মাদুরাঙ্গা ওই পোশাক কারখানায় সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করতেন। পরিচয়ের পর দীর্ঘ পাঁচ বছর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলে। এক মাস আগে সুবর্ণা গ্রামের বাড়ি চলে আসে। দেশে ফিরলেও দিলশান মাদুরাঙ্গার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল।
আরো পড়ুন: বিয়ের আসর থেকে স্বর্ণালংকার চুরি, গ্রেপ্তার তিন নারী
গ্রামে ফিরে সুবর্ণা বিষয়টি তার পরিবারকে জানান এবং তার পরিবার রাজি হলে তিনি দিলশান মাদুরাঙ্গাকে বাংলাদেশে আসতে বলেন। বৃহস্পতিবার দিলশান মাদুরাঙ্গা পটুয়াখালী পৌঁছান এবং তিনি মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেন। তার বর্তমান দিলশান ইসলাম। বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর একটি আদালতের মাধ্যমে সুবর্ণা ও দিলশান ইসলামের বিয়ে হয়। একই দিন রাতে সুবর্ণার গ্রামের বাড়িতে সামাজিক রীতি মেনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
দিলশান ইসলাম বলেন, সম্পর্কের বিষয়টি তার নিজের পরিবার জানতেন। পরিবারের সম্মতি নিয়েই বাংলাদেশে বিয়ে করতে এসেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এসে তার ভালো লাগছে। তিনি কিছুদিন এখানে থাকবেন।