আ.লীগের কর্মসূচি
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বরাবরের ন্যায় এবারো ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা হবে। ছবি : সংগৃহীত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ ১০ জানুয়ারি। এ উপলক্ষে দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। গতকাল দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আজ শুক্রবার ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন; গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন; দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা, প্রতিটি এলাকায় শীত বস্ত্র, কম্বল ও খাদ্য বিতরণ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতির পিতার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য দেশের প্রতিটি মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা পর্যায় পর্যন্ত এসব কর্মসূচি আয়োজনের আহ্বান জানানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে দিবসটি উপলক্ষে অন্যান্য রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাদের বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচি নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৭২ সালের এই দিনে পাকিস্তানের কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠ থেকে মুক্তি পেয়ে স্বদেশে ফিরে আসেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বাঙালি জাতি দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করে। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত-স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসার মাধ্যমে সে বিজয় পূর্ণতা লাভ করে। স্বদেশের মাটি ছুঁয়ে শিশুর মতো আবেগাপ্লুত হন বঙ্গবন্ধু। আনন্দ-বেদনার অশ্রæধারা নামে তার দুচোখ বেয়ে। প্রিয় নেতাকে ফিরে পেয়ে সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙালি আনন্দাশ্রুতে সিক্ত হয়ে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তোলে বাংলার আকাশ-বাতাস। জননন্দিত শেখ মুজিব সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে ঐতিহাসিক ধ্রুপদি বক্তৃতায় বলেন, যে মাটিকে আমি এত ভালোবাসি, যে মানুষকে আমি এত ভালোবাসি, যে জাতিকে আমি এত ভালোবাসি, আমি জানতাম না সে বাংলায় আমি যেতে পারবো কিনা। আজ আমি বাংলায় ফিরে এসেছি বাংলার ভাইয়েদের কাছে, মায়েদের কাছে, বোনদের কাছে। বাংলা আমার স্বাধীন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন।
১৯৭২ সালে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সদ্য স্বাধীন বাঙালি জাতির কাছে ছিল একটি বড় প্রেরণা। তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করা হয়েছিল ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা হিসেবে’। প্রতি বছর কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি নানা আয়োজনে পালন করে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বরাবরের ন্যায় এবারো ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করা হবে।