শেখ হাসিনাকে অবাধ চলাচলের অনুমতি দিলো ভারত!

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত চলে যাওয়ার ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও তার জীবনযাপন ও কর্মকাণ্ড নিয়ে তেমন বেশি কিছু জানা যায়নি। কী করেন? কী ভাবেন? কী করবেন? সবকিছুতেই রয়েছে ধোঁয়াশা! আর এসবের মধ্যেই হঠাৎ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরগরম হয়ে উঠেছে ভারত কর্তৃক শেখ হাসিনাকে নতুন কিছু সুবিধা দেয়া হয়েছে বলে।
নেতাতর্মীদের ভাষ্যমতে, ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে ফ্রি মুভমেন্ট করার অনুমতি দিয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে তিনি বিশ্বের সব দেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ কিংবা বিভিন্ন মিডিয়াকে বিবৃতি এবং সাক্ষাতৎকার দিতে পারবেন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিয়েছে ভারত সরকার। এই সাপোর্ট টিম সার্বক্ষণিক শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকবেন।
এমন একটি সিদ্ধান্ত ভারত সরকার সত্যিই যদি নিয়ে থাকে সে ব্যাপারে রাষ্ট্রীয়ভাবে জানানোর কথা। ফ্যাক্ট চেক করে দেখা যায়, ভারতের রাষ্ট্রীয় কোনো ওয়েবসাইট বা জনপ্রিয় গণমাধ্যম যেমন, আনন্দবাজার, টাইমস অব ইন্ডিয়া বা এশিয়ান এজের মতো পত্রিকায় এমন কোনো তথ্যের প্রমাণ মেলেনি। কিন্তু ভারত যদি শেখ হাসিনাকে মুভমেন্ট পাস দিয়ে থাকে তাহলে তিনি রাজনৈতিক প্রয়োজনে একবার হলেও দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য ভারতের বাইরে যেতেন। এতদিন পর সুযোগ পাওয়ার পরেও হাত গুটিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকার মানুষ তিনি না। এটা বাংলাদেশের মানুষের জানা। যেখানে কিছু হলেই ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো সরগরম হয়ে উঠে, সেখানে মুভমেন্ট পাস পাওয়ার পরও কি গণমাধ্যম একটি শব্দও করেছে?
আরো পড়ুন: শেখ হাসিনার মিত্রের দেয়া টিউলিপের আরেক ফ্ল্যাটের খোঁজ
কোথাও কোনো গণমাধ্যমে এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। সুতরাং ধরেই নেয়া যায়, দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থেকে দলের নেতাকর্মীদের আবারও চাঙ্গা করে তুলতে এক নতুন কৌশল নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আদতে হয়তো শেখ হাসিনার পক্ষে সম্ভবও হচ্ছে না সবার সঙ্গে নিয়মিত ফোনে কথা বলার। অথচ গত ২ দিন ধরেই ভক্ত সমর্থকদের এমন পোস্টে ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে।
মোদী সরকারের বরাবরই আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি দুর্বলতা একটু বেশি তা মোটামুটি সবারই জানা। কিন্তু তাদের এমন একঘেঁষা স্বভাবের কারণে বাংলাদেশের জনগণের তোপের মুখে ভারত সরকার এবং বহির্বিশ্বের যে সমালোচনা হজম করেছে তা থেকে নিশ্চয়ই এবার শিক্ষা নিবে বলেই সচেতন মহল ধারনা করছে। সুতরাং হাসিনাকে মুভমেন্ট পাস দিতে হলে এবার নিশ্চয়ই কয়েকদফা ভেবে সিদ্ধান্ত নেবে মোদী সরকার।