মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে , ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা করছে উত্তর কোরিয়া। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) উত্তর কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের প্রতি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, এই বিবৃতি একটি ‘বেপরোয়া উস্কানি’।  

এ সম্পর্কিত একটি বিবৃতি গত সোমবার প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন যা, উত্তর কোরিয়া তীব্রভাবে নিন্দা করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে ক্রমবর্ধমান উত্তর কোরিয়ার সম্পৃক্ততা সংঘাতের আরো বিপজ্জনক সম্প্রসারণ ঘটাতে পারে। তারা উল্লেখ করেছে যে, এটি ইউরোপ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য গুরুতর পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

এই বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ প্রতিনিধিরাও স্বাক্ষর করেছেন। তারা উত্তর কোরিয়ার কর্মকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে তুলে ধরেছে। তবে, পশ্চিমা দেশগুলোর এই বিবৃতিকে ভালোভাবে নেয়নি উত্তর কোরিয়া।

কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ১০টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মস্কোর সাথে পিয়ংইয়ংয়ের ‘স্বাভাবিক সহযোগিতামূলক’ সম্পর্ককে বিকৃত এবং অপবাদ দিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা উত্তর কোরিয়াকে অবিলম্বে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনের জন্য সহায়তা বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি, যার মধ্যে সৈন্য প্রত্যাহারও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাল্টা বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, এটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয় এবং আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের বেপরোয়া উস্কানির কঠোর ভাষায় নিন্দা ও প্রত্যাখ্যান করছি। শত্রু শক্তির এই প্রতিক্রিয়া ইঙ্গিত দেয়, পিয়ংইয়ং এবং মস্কোর মধ্যে বর্ধিত সহযোগিতা কার্যকরভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমাদের প্রভাব বিস্তারকে রোধ করছে। 

এটি স্পষ্ট যে, চলমান উত্তেজনা দুই দেশের মধ্যে আরও ব্যাপক কূটনৈতিক সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যেতে পারে।