উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়াকে সহায়তা করার জন্য তার সৈন্যদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে, রাশিয়ায় কয়েক হাজার সৈন্য পাঠানো হয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে, কিম জং উন এ যুদ্ধে এক লাখ পর্যন্ত সৈন্য মোতায়েন করতে পারেন। 

দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, গত শুক্রবার পিয়ংইয়ংয়ে অনুষ্ঠিত একটি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার এবং রাজনৈতিক প্রশিক্ষক সম্মেলনে কিম অংশ নেন। সেখানে তিনি বলেন, যুদ্ধের জন্য আমাদের রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে সেনাবাহিনী যুদ্ধের মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়। 

এছাড়া, কিম জং উন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র দেশগুলোর, বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা প্রসঙ্গে মন্তব্য করে বলেন, উত্তর কোরিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক সংঘাত বর্তমানে ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তিনি কোরীয় উপদ্বীপকে 'বিশ্বের সবচেয়ে বড় উত্তেজনাকর স্থান' হিসেবে অভিহিত করেন। 

কিমের এই বক্তব্যের পরপরই আন্তর্জাতিক মহলে উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সহযোগিতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ওয়াশিংটন, সিউল এবং কিয়েভ দাবি করেছে, রাশিয়ায় বর্তমানে ১০ হাজারের বেশি উত্তর কোরীয় সৈন্য রয়েছে, যারা ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোকে সহায়তা করছে। কিছু সৈন্য কুরস্ক অঞ্চলে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে বলেও জানা গেছে। 

বিশ্বের কিছু জি-২০ দেশ মূল্যায়ন করছে যে, উত্তর কোরিয়া যদি রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করে, তবে তারা এক লাখ সৈন্য পর্যন্ত পাঠাতে পারে। তবে, এসব সৈন্য একসঙ্গে নয়, বরং ধাপে ধাপে পাঠানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এছাড়া, উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে শুধু সৈন্য পাঠানোই নয়, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, আর্টিলারি এবং অন্যান্য অস্ত্র সরবরাহ করেছে। এমনকি, লং-রেঞ্জ রকেট এবং আর্টিলারি সিস্টেমও রাশিয়াকে প্রদান করা হয়েছে বলে খবর এসেছে। 

দক্ষিণ কোরিয়া সন্দেহ করছে যে, উত্তর কোরিয়া রাশিয়া থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষ করে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ও মহাকাশ প্রযুক্তি লাভের চেষ্টা করছে।