কঙ্গোতে কারাগার থেকে পালানোর সময় নিহত ১২৯

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫০ পিএম

মাকালা কারাগারটি কঙ্গোর বৃহত্তম কারাগার। ছবি : সংগৃহীত
মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ১২৯ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো অর্ধশতাধিক। কারাগারের হাসপাতালসহ প্রশাসনিক ভবনগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী কিনশাসার কেন্দ্রীয় মাকালা কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় কমপক্ষে ১২৯ জন নিহত হয়েছেন বলে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআরসি) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানি লুকু বলেছেন, হাসপাতালসহ কারগারের প্রশাসনিক ভবনগুলোতে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনার মধ্যে বন্দিরা সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। এই ঘটনায় অস্থায়ী পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ১২৯ জন মারা গেছে বলে জানা গেছে। যার মধ্যে সতর্কতামূলক হুঁশিয়ারির পর ২৪ জন বন্দুকের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া প্রায় ৫৯ জন আহত হয়েছেন।
আরো পড়ুন : নাইজেরিয়ায় ভয়াবহ বন্যা, নিহত ১৭০
তিনি বলেন, এই ঘটনায় উল্লেখযোগ্য বস্তুগত ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার পর তিনি প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা পরিষেবাগুলোর সাথে বৈঠক করেছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে।
মাকালা কারাগারটি আফ্রিকার এই দেশটির বৃহত্তম কারাগার এবং ১৫০০ বন্দি রাখার জন্য এটি নির্মিত হয়েছিল। তবে সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, বর্তমানে এই কারাগারে ১৪ হাজার থেকে ১৫ হাজার বন্দি রয়েছে। এসব বন্দিদের অধিকাংশই বিচারের অপেক্ষায় আছে বলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ডিআরসির সাম্প্রতিকতম প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
অবশ্য সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বন্দিদের মুক্তি দিয়ে কর্তৃপক্ষ কারাগারগুলোতে ভিড় কমানোর চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। তবে সরকারি সফরে চীনে থাকায় কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদির কাছ থেকে সোমবারের ঘটনায় কোনো প্রকাশ্য মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
দেশটির আইনমন্ত্রী কনস্ট্যান্ট মুতাম্বা কারাগারের অবস্থার উন্নতির প্রচেষ্টাকে দুর্বল করার জন্য এই হামলাকে নাশকতার পূর্বপরিকল্পিত কাজ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, যারা এসব নাশকতার কাজে প্ররোচনা দিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির জন্য তদন্ত চলছে। কারাগার থেকে বন্দীদের স্থানান্তরের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণাও করে বলেছিলেন, কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত ভিড় কমাতে অন্যান্য প্রচেষ্টার মধ্যে একটি নতুন কারাগার তৈরি করবে।