
প্রিন্ট: ০৫ মে ২০২৫, ১০:১৩ এএম

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

একদিনেই জন্ম হয় না তারকার। জনপ্রিয়তার পেছনে থাকে পরিশ্রমের গল্প। কারো বেশি কারো কম। পরিশ্রমের সঙ্গেই জড়িয়ে থাকে পারিশ্রমিকের কথা। প্রথম রোজগার সব তারকার কাছেই আবেগতাড়িত একটি ব্যাপার। এই বিভাগে তারকারা জানাচ্ছেন তাদের প্রথম আয় নিয়ে অনুভূতির কথা-
প্রথম আয় ৯০ টাকা
তখন সম্ভবত ক্লাস ফোর-ফাইভে পড়ি। ভীষণ দুষ্টু ছিলাম। সিনেমার পোস্টার দেখে শখ হয়েছিল সিনেমা দেখার। বাড়ি থেকে সিনেমা দেখার টাকা দিত না। টাকা জোগাড়ের জন্য বুদ্ধি বের করতে লাগলাম। সঙ্গে ছিল আমার দুই বন্ধু। তারপর আমরা তিন বন্ধু মিলে পিকআপ বোঝাই করে আসা লোহা কুড়ালাম। সাধারণত কনস্ট্রাকশনের জন্য এসব লোহা আসত। ঠিক কুড়ালাম বললে ভুল হবে। বলা যায়, চুরি করেছিলাম! পিকআপ থেকে এসব নামানোর পর নিচে যেগুলো পড়ে থাকত আমরা সেগুলো খেলার ছলে কুড়িয়ে নিতাম। এই লোহা বিক্রি করে পেয়েছিলাম ৯০ টাকা। এটাই ছিল আমার জীবনে প্রথম রোজগার। এভাবে টাকা আয় করে সিনেমা দেখার লোভ পেয়ে বসেছিল। একদিন তো বাবা দেখে ফেলেছিলেন। সেই থেকে ইনকামও বন্ধ, লোহা কুড়ানো টাকা দিয়ে সিনেমা দেখাও বন্ধ।
সাইনিং মানি পেয়েছিলাম ২০ হাজার
আমার প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসার রঙ’র জন্য সাইনিং মানি হিসেবে পেয়েছিলাম ২০ হাজার টাকা। বলা চলে, এটাই আমার প্রথম উপার্জন। এরপর আরো ৫০ হাজার টাকা পেয়েছিলাম। সে বয়সে এতগুলো টাকা একসঙ্গে পেয়ে ভীষণ ভালো লেগেছিল। সেই ২০১১ সালের কথা। খুব বেশি বয়সও ছিল না তখন।
মাকে ৫ হাজার টাকা দিয়েছিলাম
প্রথম সিনেমার সাইনিং মানি পেয়ে মাকে ৫ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। মা ভীষণ অবাক হয়েছিলেন। আর বাকি টাকা দিয়ে সিনেমার জন্য পোশাকও কিনেছিলাম। যদিও শুটিংয়ের জন্য আমাদের পোশাক দেয়া হতো তবু আমি এই টাকা থেকে নিজের পছন্দমতো কিছু কেনাকাটা করেছিলাম সিনেমা ও গানের দৃশ্যে ব্যবহার করার জন্য।
দুস্থদের জন্য ভাবনা আছে
যতই দুষ্টু প্রকৃতির হই না কেন আমার ভেতরে একটি নরম মন আছে। আমি সবসময়ই চেষ্টা করি অসহায় ও দুস্থ মানুষের জন্য কিছু করতে। আর এই শিক্ষাটা পেয়েছি আমার পরিবার থেকে। বাবাকে দেখতাম, অসহায় কোনো মানুষ তার কাছে সাহায্য চাইলে তিনি তাদের সাধ্যমতো সহযোগিতা করতেন। আমিও বাবার এই গুণটা নিজের মধ্যে ধারণ করার চেষ্টা করি। আমি এতিম বাচ্চাদের খেলনা, খাবার, জামাকাপড়, ছবি আঁকার জিনিস উপহার দিই। বয়স্ক অসহায় মানুষকে আর্থিক সাহায্য করি। হ মেলা প্রতিবেদক