‘গুলি বন্ধ কর, আমার মেয়ে মারা গেছে’

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

কাগজ ডেস্ক : নববর্ষের ঠিক আগে ২১ বছর বয়সি শাথা আল-সাব্বাগ ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে জেনিনের একটি দোকান থেকে পরিবারের শিশুদের জন্য চকলেট কিনতে বের হন। তবে সেদিন চকলেট কিনে আর বাড়িতে ফিরতে পারেননি। এর আগেই মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সাংবাদিকতার এই ছাত্রী ছিলেন নির্ভীক। তিনি ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। মা, দুই ছোট ভাতিজা এবং অন্য এক আত্মীয়ের সঙ্গে বসবাস করতেন। মেয়েকে হত্যার মুহূর্ত এখনো শাথার মায়ের চোখে ভাসে। মা উম্মে আল-মোতাসিম বলছিলেন, ‘সে (শাথা) হাসছিল ও বলছিল, আমরা আজ সারা রাত জেগে কাটাব। এরপরই গুলি এসে তার মাথায় লাগে।’ একটু দম নিয়ে নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছিলেন উম্মে আল-মোতাসিম। নিজ সন্তানকে গুলি খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখার এই ব্যথা এখনো তাজা। তিনি বলেন, ‘নিজের মাথা থেকে বের হওয়া রক্তের উপর শাথা যখন চিৎ হয়ে পড়েছিল, তখনো তার চোখ বড় বড় করে খোলা ছিল। মনে হচ্ছিল সে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।’ ‘আমি চিৎকার করে বলতে শুরু করলাম, গুলি বন্ধ কর! আমার মেয়ে মারা গেছে। আমার মেয়ে মারা গেছে।’