‘ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিলেন মাসুদ আলম

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৫, ০৪:২২ এএম

ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডের লোগো
‘ফ্যাসিস্টের দোসরের হাতে ৩শ কোটি টাকার প্রকল্প’ শিরোনামে গত ২৩ জুন একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ আলম। প্রতিবাদলিপিতে দাবি করা হয়, প্রকাশিত প্রতিবেদনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অসত্য। এ ধরনের রিপোর্টের কারণে তার নিজের এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ২৯৭ কোটি টাকার ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রকল্পের দরপত্র নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রতিবাদলিপিতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে মাসুদ আলম বিশদ ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজন তরুণ উদ্যোক্তা হিসাবে পেশাগত কারণে আমার সঙ্গে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচয় ছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপটেও অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একইভাবে পেশাগত কারণে আমার পরিচিতি রয়েছে। কিন্তু কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতা নেই। ফলে জাহিদ আহসান রাসেলের ক্যাশিয়ার হিসাবে উল্লেখ করা তথ্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে অংশগ্রহণ করেছিলাম। কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করিনি এবং কোনো সময়ই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলাম না। বরং ক্ষমতার অপব্যবহার করে আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ-সদস্য ও নেতারা আমাকে পরাজিত করেন।
প্রশিক্ষণ ফার্ম নির্বাচনের জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর নিয়মানুযায়ী পত্রিকায় ও ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে। এ সংক্রান্ত দরপত্র প্রক্রিয়ায় তার প্রতিষ্ঠানসহ ৩০টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। এরপর সব ধাপ পার করে দরপত্র ও প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির মূল্যায়নে তার প্রতিষ্ঠান ‘ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড’কে যোগ্য বলে সুপারিশ করা হয়। পরবর্তীতে পিপিআর ২০০৮ এর বিধিবিধান মেনে ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডকে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ সুপারিশ করে এবং চূড়ান্তভাবে প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক তা অনুমোদন লাভ করে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হামিদ খানের সঙ্গে আমার বিদেশ ভ্রমণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে, যা বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ও কাকতালীয়। প্রকৃতপক্ষে, পবিত্র ওমরাহ হজ পালনের সময় সৌদি আরবে তার সঙ্গে আমার দেখা হয়। তখনো তিনি এই প্রকল্পের জন্য প্রকল্প পরিচালক হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হননি। ওই সময়ে ওমরাহ পালন করতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অনেক প্রবাসী, ধর্মপ্রাণ মানুষের সঙ্গে আমার দেখা হয়, যা একান্ত ধর্মীয় পরিবেশের অংশ।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিবদের সঙ্গে আমার সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, যা একেবারেই বিভ্রান্তিকর এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মেজবাহ উদ্দিন ও আখতার হোসেনের আমলে আমাদের প্রকল্প দেওয়া হয়েছে, অথচ তাদের সময়ে আমরা কোনো প্রকার প্রকল্পের কাজ পাইনি এবং প্রকল্প সম্পর্কিত কোনো কাজে জড়িত ছিলাম না।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে আমাকে ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রলীগের (রবিউল-রানা কমিটি) সহ-সম্পাদক হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমি কখনো ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না এবং বিগত কোনো সময়েও দলটির কোনো ধরনের পদ বা পদবি গ্রহণ করিনি।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, জাতীয় নির্বাচনের সময় ‘শেখ হাসিনাতেই আস্থা’ নামক একটি সোশ্যাল মিডিয়া পেজ পরিচালনার জন্য আমাকে ২০২২ ও ২০২৩ সালে পুরস্কৃত করা হয়েছে, যা তথ্যগতভাবে স্পষ্টভাবে অসংলগ্ন। কারণ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২৪ সালে।
দুর্নীতি দমন কমিশনে আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটি কোনো সঠিক বা বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়নি। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে হুমকি ও চাঁদাবাজির ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করা হয়েছে। এ ধরনের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগের মাধ্যমে আমাকে হেয় করার অপচেষ্টা কখনো সফল হবে না।