স্বাধীনতা-স্বাধীনতা

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২১, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
দ্বিজাতিতত্ত্ব-মোড়কে কেনা স্বাধীনতা ছিলো আদ্যোপান্ত ভুল
প্রতারণা বিষে পোড়াতে চেয়েছে ওরা বাঙালির মর্মমূল
ভাষা ও কৃষ্টিকে গ্রাস করে যদি শোষণ চালায়
মুখ বুজে সে আঘাত কখনো কি সওয়া যায়!
মাছেদের যারা ভেসে জল খায় তারাও গভীরে নামে সময়ের ডাকে
নিঃশ্বাসের প্রয়োজনে ওরা কিছুক্ষণ ভেসে থাকে,
আপাতদৃষ্টিতে মনে হলো যাদের চাঁদের কণা
তারাও ব্রীড়ার আড়ালে রেখেছে ভয়ংকর ফণা
ছলনা এমন ভয় প্রলোভন জাগায় দংশনে কাড়ে প্রাণ
পৃথিবীর কাছে প্রচারিত হয় মিথ্যার সম্মান।
দুয়োরাণী রাক্ষস বালিকা ছলনায় রক্ত করেছে শোষণ
ধর্মের লেবাসে কূট চক্রান্তে করেছে আগ্রাসন!
আমার ঘামের অর্জন-লুণ্ঠনে গড়েছে নগর জনপদ
আলখাল্লার অন্তরালে লুকিয়েছে ওরা বিষাক্ত শ্বাপদ!
গ্রাম-গঞ্জ ঘুরে বঞ্চিতের কষ্ট পাঠে দাঁড়ালেন যিনি মাঠে
বজ্র দৃঢ় কণ্ঠে উচ্চারিলেন সাহসে মানুষের যত দাবি
স্বাধীনতার সুবর্ণবর্ষে আজ তাঁর কথা ভাবি
নদী জলে সন্তরণ করে উঠে আসা তিনি মাঠের রাখাল
বঙ্গ জনপদে ঘরে ঘরে দুর্গ তাঁর অঙ্গনে স্বপ্ন-চাতাল;
যে স্বপ্নের ছবি এঁকেছেন তিনি জীবন সংগ্রামে
ছুটেছেন তিনি ব-দ্বীপ বঙ্গের নগরে ও গ্রামে
যে ছবিটি আঁকেন টুঙ্গিপাড়ায় বাঘাই নদীর তীরে বত্রিশ নম্বরে
কলকাতার বেকার হোস্টেলে অগণন অন্ধকার কারাগারে;
সেই ছবি সেঁটে দেন রেসকোর্স মাঠে বাঙালির বুকে বুকে
আশৈশব ছিলেন যে বাঙালির সাথে সুখে-দুখে
সেদিন উত্তাল ফাল্গুনে অনন্ত অগ্নি কোটি বাঙালি অন্তরে
যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু সেই সাত মার্চ উনিশশো একাত্তরে!
সেই থেকে বাঙালি স্বপ্নের সন্ধানে অতন্দ্র যোদ্ধা রণাঙ্গনে
মার্চ ছাব্বিশে ঘোষণা বটে কিন্তু সেদিন থেকেই বাঙালি স্বাধীন মনে মনে!