ঈদের নামাজ নিয়ে কোন্দল
যশোরে বোমা হামলায় বিএনপি নেতা নিহত

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৫, ০৮:০১ এএম

ঈদের নামাজ নিয়ে কোন্দল
যশোরের শার্শা উপজেলায় ঈদের নামাজ পড়তে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে আব্দুল হাই (৫০) নামে দলের এক নেতা নিহত হয়েছেন।
শনিবার (৭ জুন) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার বাহাদুর ইউনিয়নের ডুবপাড়া গ্রামে বোমা হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। নিহত আব্দুল হাই ওই গ্রামের বাসিন্দা এবং ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য।
এ ঘটনায় জিয়া (৩২) নামের আরেক বিএনপির কর্মী আহত হয়েছেন। ঈদের নামাজ পড়তে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
তবে বিএনপির এক পক্ষ বলছে, দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নয়, আওয়ামী লীগের অনুসারীদের ঈদের নামাজ পড়তে বাধা দেওয়ার জ্বেরে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের স্থানীয় ঈদগাঁহ মাঠে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে।
ওয়ার্ড বিএনপি নেতা জামসেদ আলীর ছেলে আবু সাইদ আওয়ামী লীগের সমর্থকদের ঈদের নামাজ পড়তে বাধা দেয়। বিষয়টা নিয়ে আব্দুল হাইসহ উপস্থিত বিএনপির অন্য নেতারা প্রতিবাদ করেন। এরপর আবু সাইদ তার অনুসারীদের নিয়ে ঈদের মাঠ থেকে চলে যান।
রাতে আব্দুল হাই ডুবপাড়া জামতলা নামক স্থানে অবস্থান করছিলেন। এ সময় আবু সাইদ তাকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে। বোমার আঘাতে আব্দুল হাই গুরুতর আহত হন এবং তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্ত্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় তার সাথে থাকা জিয়া নামের অপর এক বিএনপি কর্মী আহত হয়েছেন। তাকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন বলেন, ঈদের নামাজ পড়তে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে আবু সাইদ নামের এক সন্ত্রাসী এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
সে বিএনপির কেউ না, গত ৫ আগস্টের পর বিএনপি সাজার চেষ্টা করছে। মূলত সে একজন সন্ত্রাসী এবং নেশাগ্রস্ত যুবক। তার বাবাও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একটি সূত্র জানায় দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
যশোর নাভারন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আটক করতে মাঠে নেমেছে। লাশ পুলিশ হেফাজতে আছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।