×

ভিডিও

ইহুদিদের দেশ ছাড়ার হিড়িক, কারণ কী?

Icon

কামরুজ্জামান আরিফ

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫, ১০:২৩ পিএম

গাজার ফিলিস্তিনিরা দখলদার ইসরায়েলের ২০ মাসের অবরোধ, স্থানচ্যুতি ও গণহত্যার পরও অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে নিজেদের ভূমিতে টিকে আছে। বিপরীতে ইসরায়েলি ইহুদিরা এখন মরিয়া হয়ে দেশ ছাড়ার পথ খুঁজছেন।‘রেসকিউ ফ্লাইট’ ও ‘এস্কেপ ফ্লোটিলা’র মতো বিশেষ উদ্যোগের মাধ্যমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন হাজার হাজার ইসরায়েলি। কিন্তু, যাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা তারা দেশে টিকে থাকলেও ইহুদিরা পালাচ্ছে কেন? 

২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ফিলিস্তিনে গণহত্যা ও যুদ্ধ পরিস্থিতির পরপরই ইসরায়েলি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ৮২ হাজার ইসরায়েলি ইহুদি দেশ ছেড়েছেন। বেসরকারিভাবে এ সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ বলে ধারণা করা হচ্ছে। একইসময়ে, বহু ইসরায়েলি নাগরিক যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপে পাড়ি জমানোর জন্য আবেদন করে যাচ্ছেন।  

গাজায় সহায়তা বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে হামলা, ক্ষুধার্ত মানুষদের হত্যার মাধ্যমে ইসরায়েল যে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, ঠিক সেই সময়ে ইরানের পাল্টা হামলা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করেছে। ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক, দ্বৈত নাগরিকত্বধারী এবং পর্যটকরা এখন দেশ ছাড়তে মরিয়া হয়ে পড়েছেন। তবে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে, ইসরায়েলি সরকার সম্প্রতি একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, ফলে ইসরায়েলিদের দেশত্যাগ কার্যত নিষিদ্ধ হয়ে গেছে।

যদিও সম্প্রতি যুদ্ধের কারণে দেশত্যাগ বেড়েছে, তবে ইসরায়েলি ইহুদিদের এ প্রস্থান নতুন কিছু নয়। এর আগেই বহু ইসরায়েলি নাগরিক দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম মারিভ এক প্রতিবেদনে জানায়, নতুন একটি আন্দোলনের সূচনা হয়েছে, ইসরায়েলি ইহুদিদের যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তর সহজ করার জন্য।

‘লিভিং দ্য কান্ট্রি - টুগেদার’ নামের এ সংগঠন প্রথম পর্যায়ে ১০ হাজার ইসরায়েলিকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর পরিকল্পনা করে। এই সংগঠনের নেতৃত্বে আছেন নেতানিয়াহু-বিরোধী কর্মী ইয়ানিভ গোরেলিক ও ইসরায়েলি-আমেরিকান ব্যবসায়ী মরদেখাই কাহানা। 

ইসরায়েলি ডেমোগ্রাফার সার্জিও ডেলা পেরগোলার মতে, ইসরায়েল থেকে ইহুদি জনগোষ্ঠীর এ ব্যাপক প্রস্থান ‘জাতিগত সংকট’ তৈরি করছে।  এ পরিস্থিতি রুখতে ইসরায়েলি সরকার গত সপ্তাহে নতুন একটি নীতিমালা চালু করে। এর আওতায়, যে কোনো ইসরায়েলি নাগরিককে দেশত্যাগ করতে হলে ‘সরকারি কমিটির’ অনুমতি নিতে হবে। 

তারা দেশ ছাড়তে চাইলে বিমান সংস্থাগুলো টিকিট বিক্রিতে বাধা দিচ্ছে। ইসরায়েলি পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভের নেতৃত্বে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে। ইসরায়েলের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক হারেৎজ লিখেছে, ইসরায়েলিরা বিপদের মধ্যে দেশে ফিরতে পারে; কিন্তু বিপদ থেকে পালাতে পারবে না।

ইসরায়েলিরা এখন যেভাবে দেশত্যাগে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন, তা যেন ১৯৭০ দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে ইহুদিদের ইসরায়েলে আনার সময়কার প্রচারণাকে উল্টো প্রতিফলিত করছে। সেই সময় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র একযোগে বলেছিল, ‘আমার লোকদের যেতে দাও’। আজ, ইসরায়েলি নাগরিকদের মুখেই সেই কথা: ‘নেতানিয়াহু, আমার লোকদের যেতে দাও’।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মচারীদের বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি

এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মচারীদের বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি

গাজার পর এবার ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরের দখল চায় ইসরায়েল

গাজার পর এবার ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরের দখল চায় ইসরায়েল

রুমায় সেনা অভিযানে কেএনএ’র সামরিক কমান্ডারসহ নিহত ২

রুমায় সেনা অভিযানে কেএনএ’র সামরিক কমান্ডারসহ নিহত ২

ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ভাইরাল: এসআই প্রত্যাহার

ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ভাইরাল: এসআই প্রত্যাহার

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App