
প্রিন্ট: ০২ জুন ২০২৫, ১১:০৩ এএম
আরো পড়ুন
‘নাটক বন্ধ কর, নাটক করা যাবে না- এমন স্লোগান সেখানে দেয়া হয়নি’

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৩ পিএম
গত ২ সেপ্টেম্বর শিল্পকলা একাডেমীতে জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের শো চলার মাঝপথেই তা বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে নাটকটি চলা অবস্থায় তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে নাটক বন্ধ করা বিষয়ে এবার রহস্যের জট খুলতে শুরু করেছে।
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে গত ১৭ অক্টোবর দেশ নাটকের দলনেতা এহসানুল এজাজ বাবুর সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোষ্টের মাধ্যমে। পোষ্টে নিত্যপুরাণ নাটকের দলনেতা বাবু অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের ছবি ব্যবহার করে একটি কোলাজ যুক্ত করেন।
কোলাজটিতে তিনি ‘এরা বাংলাদেশবিরোধী, এরা স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকারদের রুখে দাঁড়ান’ লেখেন। এছাড়াও কোলাজের ব্যকগ্রাউন্ডে তিনি, ‘তুই রাজাকার, তুই রাজাকার’ যুক্ত করে দেন। উক্ত পোষ্টটির ক্যাপশনে জুড়ে দেন “আসুন আমরা সবাই এই দেশ’কে বাঁচাই, জয় বাংলা বলে এই বাংলাদেশ বিরোধী,স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই”। পরে এই পোষ্টটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।
বিতর্কের ব্যবচ্ছেদ করে ‘দেশ নাটক’ নাট্যদলের সদস্য ব্রততী বিথু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আজকে আমার দল দেশ নাটকের নিত্যপুরাণ নাটকটি মঞ্চস্থ হওয়ার মাঝখানেই এই ঘটনা ঘটে। সে সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। তবে নাটক বন্ধ করুন- এমন ধরনের কোনো স্লোগান সেখানে কেউ দিয়েছে বলে আমাদের কানে আসেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মূলত একজন ব্যক্তিকে মূল হল থেকে বের করে দেওয়ার জন্য কিছু মানুষ শিল্পকলার ১ নম্বর গেটে জটলা বাঁধিয়েছিল। সেই ব্যক্তিবিশেষকে ধরার এতটাই আগ্রহ ছিল তাদের, যার কারণে পরিস্থিতি কিছুটা খারাপের দিকে মোড় নেয়। আর শো মাঝপথে স্থগিত করে দেওয়া হয়। কোনো নাটক বন্ধ কর, নাটক করা যাবে না- এমন ধরনের স্লোগান সেখানে দেওয়া হয়নি।’কিন্তু পরবর্তীতে ব্রততী বিথু তার এই স্টেটাসটি ডিলেট করে দেন।
এহসানুল এজাজ বাবুর ফেসবুক প্রোফাইল ঘেটে দেখা যায় তিনি ৫ আগষ্টের পর প্রায়ই বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের আক্রমণ করে বিভিন্ন বিষয়ে পোষ্ট করতেন। তবে নাটক বন্ধ করা বিষয়ে এখন পর্যন্ত এহসানুল এজাজ বাবু কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। নাটক বন্ধ ইস্যুর পর তিনি ৩ সেপ্টেম্বর ভোররাতে একটি পোষ্ট করেন, ‘যেখানে তিনি লেখেন আজ ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস, বাঙালির জাতীয় ৪ নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।