বাংলাদেশকে নিয়ে রোহিতের রসিকতা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ পিএম
পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশের পর আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বর টাইগাররা। ভারতে যে আরও কঠিন লড়াইয়ের অপেক্ষা, তা অনুমেয়। ভারতের আগুনঝরা বোলিংয়ে ব্যাটাররাই ঝাঁজ বেশি টের পাবেন। সেই সঙ্গে উইকেট, কন্ডিশন ও এসজি বলের চাপও সামলাতে হবে। তবে লাল-সবুজের এই হুঙ্কারকে আমলেই নিচ্ছেন না ভারতীয় দলপতি। বরং বাংলাদেশকে মজা নিতে দেওয়ার কথাই বললেন রোহিত শর্মা।
নিজেদের ২৪ বছরের ইতিহাসে কখনোই ভারতের বিপক্ষে টেস্ট জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এবার টেস্ট দিয়েই শুরু হচ্ছে দুই দলের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। চেন্নাই ও কানপুর, দুই টেস্টেই জয়ে আত্মবিশ্বাসী টাইগাররা। তবে বাংলাদেশকে সমীহ করতে নারাজ রোহিত।
(‘দেখুন, প্রত্যেক দলই ভারতকে হারাতে পছন্দ করে। তাদেরকে মজা করতে দিন। আমাদের ম্যাচ জিততে হবে আর এ কারণেই আমরা এখানে এসেছি। বাংলাদেশ আমাদের নিয়ে কী বলছে বা ভাবছে, তা নিয়ে ভাবলে হবে না)
ইতিহাস বলছে, রাজকীয় ফরম্যাট টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে একচ্ছত্র আধিপত্য দেখিয়েছে ম্যান ইন ব্লু’রা। বড্ড চেনা প্রতিপক্ষ হলেও হালকাভাবে নিতে নারাজ ভারতীয় দলপতি।
(ইংল্যান্ড যখন এখানে এসেছিল, তারাও অনেক কিছু বলেছে। তবে আমরা সেদিকে মনোযোগ দেইনি। আমাদের ফলাফল করে দেখাতে হবে এবং এটাই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের উদ্দেশ্য ভালো ক্রিকেট খেলা। ভারত সম্প্রতি অনেকগুলো দলের বিপক্ষে খেলেছে। প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবলে হবে না)
চেন্নাই টেস্ট দিয়ে প্রায় ৮ মাস পর টেস্টে ফিরছে ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এবারই প্রথম পাঁচদিনের ফরম্যাটে নামছে টিম ইন্ডিয়া। তবে স্বাভাবিকভাবেই বিরতির এই জড়তা কাটাতে পারবেন বলে বিশ্বাস রোহিতের।
এদিকে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং-তিন বিভাগের সম্মিলিত পারফরম্যান্সে পাকিস্তানকে নাকানি-চুবানির স্বাদ দিয়েছে বাংলাদেশ। সহজ করে বললে, দ্য গ্রিন ম্যানদের মাটিতে এ+ পেয়েছেন চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। আর বর্তমান এই দলটাই টেস্টে লাল-সবুজের সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ দল বলে মনে করেন লঙ্কান এই মাইন্ডমাষ্টার।
‘আমি মনে করি আমার মেয়াদে বাংলাদেশে তৈরি হওয়া সম্ভবত এটাই সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ দল।’
পাকিস্তানে দারুণ ব্যাটিং করেছেন মুশিফক, লিটন-মিরাজ। ভয়ঙ্কর বোলিং পারফরম্যান্সও দেখেছে টাইগার ভক্তরা। সবমিলিয়ে দলীয় প্রচেষ্টাতেই পাকিস্তানের মাটিতে ইতিহাস গড়েছিল টিম টাইগার্স।
‘এটা আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস দেয়। ফলাফলের জন্যই নয়, সেই সিরিজে আমরা যেভাবে খেলেছি, যেভাবে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি, আমরা উভয় টেস্টেই পিছনে ছিলাম এবং পরে আমরা কীভাবে ফিরে আসি। এই সিরিজের জন্য আমাদের অনেক বিশ্বাস তৈরি করেছে।’