যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার নতুন ধরন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম

করোনার নতুন ধরন
করোনা ভাইরাসের নতুন একটি ধরন বা সাবভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাজ্যে, যা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।
কারণ এনবি.১.৮.১ নামের নতুন এই ভাইরাসটি অন্য করোনাভাইরাসের তুলনায় বেশ শক্তিশালী এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) বুধবার (৪ জুন) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে দেশটির নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড প্রদেশে অন্তত ৭ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। খবর দ্য মিররের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর করোনা বিষয়ক নথিপত্র ঘেঁটে জানা গেছে যে এনবি.১.৮.১ নামের এই করোনা ভাইরাসটি বর্তমানে সক্রিয় অন্যান্য করোনা ভাইরাসের চেয়ে চারগুণ দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম।
আরও জানা গেছে যে বর্তমানে বাজারে যেসব করোনা টিকা প্রচলিত, সেগুলোর প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যর্থ করে দিতে পারে এনবি.১.৮.১। এই ভাইরসটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার মনিটর’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে ডব্লিউএইচও।
বর্তমানে হংকং এবং চীনে যারা করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন, তাদের অধিকাংশই এনবি.১.৮.১ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত। এর পাশপাশি, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, মিসর, থাইল্যান্ড এবং মালদ্বীপেও এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে।
অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক ড. লারা হেরেরো ব্রিটিশ দৈনিক দ্য মিররকে বলেন, অন্য করোনা ভাইরাস যেভাবে ছড়ায়, এনবি.১.৮.১-ও সেভাবেই ছড়ায় তবে এটি অনেক সহজে এবং দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম।
এছাড়া করোনা টিকা নেওয়ার ফলে দেহে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়, সেটিকে ব্যর্থ করে দেওয়ার মতো শক্তি এনবি ১.৮.১ ভাইরাসের রয়েছে।
এই ভাইরাসের উপসর্গগুলো হলো টানা ও দীর্ঘ কাশির দমক, স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি লোপ পাওয়া, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তিবোধ করা, গা-মাথা-গলা ব্যথা, নাক বন্ধ হওয়া, গলা ব্যাথা, খাবারের রুচি নষ্ট হয়ে যাওয়া, ডায়রিয়া ও অসুস্থবোধ করা।
ড. লারা হেরেরো আরও বলেন, যদি এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আপনার কাশির দমক উঠতে থাকে এবং ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৩ বার এমন ঘটে—তাহলে অবশ্যই আপনার উচিত হবে করোনা টেস্ট করা।