হায়দরাবাদে রিয়াদকে বিদায়ী সংবর্ধনা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
-670b71279bedf.png)
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের মাঝেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পঞ্চপণ্ডবদের মধ্যে অন্যতম মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। গতকাল হায়দরাবাদে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামেন এই অলরাউন্ডার। বিদায়ী ম্যাচের শুরুতেই সতীর্থদের কাছ থেকে বিদায়ী অর্ঘ্য পেয়েছেন রিয়াদ। গতকাল ম্যাচ শুরুর আগে মাঠেই বিদায়ী সংবর্ধণা দেয়া হয় তাকে।
গতকাল হায়দরাবাদের ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। মাঠে নামার আগে মাহমুদউল্লাহকে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে দলের ক্রিকেটাররা। যার বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে দেখা যায় ক্রিকেটাররা গোল হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আর মাঝখানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এ সময় রিয়াদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় জাতীয় দলের আরেক সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবাল খানকে। ভারত সিরিজে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় রয়েছেন তিনি। অন্য একটি ছবিতে দেখা যায় মাহমুদউল্লাহর হাতে একটি ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত।
এর আগে গত ৮ অক্টোবর দিল্লিতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ-পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে অবসরের ঘোষণা দেন মাহমুদউল্লাহ। মূলত, বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলটি আসন্ন ২০২৬ বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে সাজাতে চাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেখানে বয়সের দিক বিবেচনায় বিসিবির পরিকল্পনা মোতাবেক এমন সিদ্ধন্ত নেয় মাহমুদউল্লাহ। তাই ভারত সিরিজকে কাজে লাগিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফরম্যাট থেকে বিদায় নিলেন তিনি।
এর আগে, ২০২১ সালের জুলাই মাসে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তুমুল আলোচিত ছিল সেই অবসর। কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই, হারারে টেস্টের মাঝপথে মাহমুদউল্লাহকে সতীর্থদের গার্ড অব অনার দিতে দেখে সবাই অবাক হয়েছিলেন। এরপর অনেক দিন মাহমুদউল্লাহ কিছু বলেননি। সেই অবসর নিয়ে রীতিমতো একটা রহস্যের জন্ম হয়েছিল।
তবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নিতে এমন কোনো নাটকীয়তার আশ্রয় নেননি মাহমুদউল্লাহ। আনুষ্ঠানিকভাবেই বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন, তিন ম্যাচের এই সিরিজ শেষেই তিনি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেবেন। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এখনই ছাড়ছেন না অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। দেশের হয়ে ওয়ানডে খেলে যেতে চান।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহর। বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৩৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। ১১৭.৭৪ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ২৩৯৫, গড় ২৩.৪৮। বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দেয়ার রেকর্ডও মাহমুদউল্লাহর। ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ৪৩টি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে টস করতে নেমেছেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে জয় পেয়েছেন ১৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে, হার ২৬টিতে।