×

সম্পাদকীয় ও মুক্তচিন্তা

বিভুরঞ্জন সরকার

আমি বিজয় দেখেছি, পরাজয়ও

Icon

বিভুরঞ্জন সরকার

প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আমি বিজয় দেখেছি, পরাজয়ও

আমি বাংলাদেশের অনেক ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দেখেছি, দেখেছি একটি স্বাধীন জাতির জন্মের আনন্দ, অমিত সম্ভাবনা এবং একই সঙ্গে পরবর্তী সময়ে জটিল পথচলার নানা অধ্যায়। আমার চোখে ধরা পড়েছে মুক্তিযুদ্ধের রক্তস্নাত বিজয়, স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম, আর তার পরবর্তী চার দশকের উত্থান-পতনের প্রতিটি বাঁক। বিজয় দেখেছি, কিন্তু পরাজয়ের তিক্ততাও সয়ে নিয়েছি। তবু আমি আজও আশাবাদী, কারণ আমার মাটিতে বারবার উঠে দাঁড়ানোর শক্তি আছে।

একাত্তরের বিজয় কোনো সাধারণ ঘটনা ছিল না। এটি ছিল বাঙালি জাতির হাজার বছরের স্বপ্ন ও সংগ্রামের ফল। আমরা দেখেছি কীভাবে একটি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে উঠে দাঁড়ায়, কীভাবে অন্যায়, অত্যাচার আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে রক্ত দিয়ে স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে আনে।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা থেকেই শুরু হয়েছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। পাকিস্তানি সামরিক জান্তার নৃশংস হত্যাযজ্ঞ, গণহত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞে জ^লে উঠেছিল পুরো জাতি। বাঙালির ঘরে ঘরে তৈরি হয়েছিল প্রতিরোধের দুর্গ। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ছিল আমাদের সাহসিকতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৬ দফার দাবির মাধ্যমে শুরু হওয়া মুক্তির স্বপ্ন ধীরে ধীরে বাঙালির চেতনায় রূপ নিয়েছিল। একাত্তরের ৭ মার্চের ভাষণ সেই চেতনার মশাল। মুক্তিযোদ্ধারা যখন রণাঙ্গনে প্রাণপণ লড়াই করছিলেন, তখন দেশের মাটিতে সাধারণ মানুষও নিজের কাজ করে যাচ্ছিল; কেউ খাদ্য সরবরাহ করছিল, কেউ তথ্য আদান-প্রদান করছিল। সব মিলিয়ে এটা ছিল এক জাতির সম্মিলিত আত্মত্যাগ।

২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি, ৩০ লাখ মানুষের আত্মদান, লাখ লাখ মানুষের উদ্বাস্তু জীবন- এসব কিছু মিলে একাত্তরের বিজয় রচিত হয়েছিল। এমন আত্মত্যাগ ও বীরত্বের তুলনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১, আমাদের বিজয়ের দিন। এই দিনটি শুধু একটি ভূখণ্ডের স্বাধীনতার ঘোষণা নয়, এটি ছিল নতুন প্রত্যাশা এবং সম্ভাবনার জন্ম। আমরা চেয়েছিলাম একটি সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক, মানবিক বাংলাদেশ।

১৯৭১ সাল আমার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বছর। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি দেখেছি এক জাতির অস্তিত্বের জন্য জীবন-মরণ লড়াই। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসনের অবিচার, বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা আন্দোলন এবং ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রেরণা জুগিয়েছিল। একদিকে ছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নিষ্ঠুর গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ, অন্যদিকে ছিল এক অসম লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার অদম্য সাহস। ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় শুধু স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণই নয়, এটি ছিল সমগ্র বিশ্বে আমাদের মাথা তুলে দাঁড়ানোর ঘোষণা।

কিন্তু স্বাধীনতার পরপরই আমরা নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত একটি দেশ পুনর্গঠন, অর্থনীতির চাকা ঘোরানো, এবং জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা ছিল কঠিন কাজ। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা পেয়েছিলাম একটি প্রগতিশীল সংবিধান, যেখানে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র এবং জাতীয়তাবাদ ছিল মূল ভিত্তি। কিন্তু ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা দেশের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল। আর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে আমরা শুধু এক মহান নেতাকে হারাইনি; আমরা হারিয়েছি একটি জাতির ঐক্যের ভিত্তি।

১৯৭৫-এর পরে শুরু হয় সামরিক শাসনের অধ্যায়। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে প্রান্তিক করে ক্ষমতা সংহত করার চেষ্টা করেন। জিয়ার শাসনামলে অর্থনীতি কিছুটা স্থিতিশীলতা পেলেও, রাজনীতিতে বিভাজন এবং সামরিক কর্তৃত্বের ছায়া বিস্তৃত হতে থাকে। গণতন্ত্র তখনো স্বপ্ন। ১৯৮১ সালে জিয়ার হত্যার পর আবারো অস্থিরতা শুরু হয়।

এরশাদের শাসনকাল ছিল ১৯৮০-এর দশকের আরেকটি সামরিক কর্তৃত্বের অধ্যায়। আমি দেখেছি, কীভাবে এরশাদ সংবিধান সংশোধন করে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করে আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে আঘাত করেন। তবে তার সময়েই কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও প্রাথমিক শিক্ষা প্রসারে পদক্ষেপ নেয়া হয়। কিন্তু ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানে এরশাদ পতনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, জনগণ সামরিক শাসনকে আর মেনে নিতে রাজি নয়। সামরিক চক্রান্ত, দারিদ্র্য এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও আমাদের অগ্রগতি থেমে থাকেনি। আমাদের গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক পরিবর্তন নতুন বাংলাদেশের প্রতিশ্রæতি রক্ষা করেছে।

তবে গণতন্ত্র ফিরে এলেও তৃণমূলে এর সুফল পৌঁছাতে পারিনি আমরা। ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। আমি দেখেছি, কীভাবে যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন শুরু হয় এবং ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিস্তার ঘটে। এরপর ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি ছিল এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। কিন্তু দুই প্রধান দলের তীব্র রাজনৈতিক প্রতিদ্ব›িদ্বতা এবং হরতালনির্ভর রাজনীতি দেশকে অস্থির করে তোলে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসে। তখনকার সময় ছিল সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, সন্ত্রাসবাদ বৃদ্ধি এবং দুর্নীতির কালো অধ্যায়। ২০০৬ সালে রাজনৈতিক সংকট চরমে পৌঁছে এবং জরুরি অবস্থার মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় ফিরে আসেন।

শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনকাল বাংলাদেশে অর্থনীতি, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সামাজিক অগ্রগতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে। এই সময় দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়, যা দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে শক্তিশালী করেছে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, দারিদ্র্যের হার হ্রাস এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রেকর্ড অর্জন অর্থনৈতিক সাফল্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন, মেট্রোরেলের উদ্বোধন, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মতো উদ্যোগ দেশকে অবকাঠামো উন্নয়নের নতুন যুগে নিয়ে গেছে। এছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শিল্প ও কৃষি খাতের প্রসার ঘটেছে।

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন এই শাসনামলের আরেকটি বড় অর্জন। শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি, বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রসার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস, নারীর কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। এছাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

তবে এই সাফল্যের পাশাপাশি সমালোচনার জায়গাও কম নয়। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর দমনপীড়ন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সীমাবদ্ধতা এবং গণতন্ত্রের সংকোচন শেখ হাসিনার শাসনামলের বিতর্কিত দিক। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এবং বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি দেশের গণতান্ত্রিক ভিত্তিকে দুর্বল করেছে। এ ছাড়া দুর্নীতি, ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম, ঋণখেলাপি ও মানি লন্ডারিং অর্থনৈতিক অগ্রগতির ওপর একটি কালো ছায়া ফেলেছে।

মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (উঝঅ) মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সীমিত করেছে, যা সাংবাদিক, লেখক এবং সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়েও সমালোচনা রয়েছে, যা দেশে গণতন্ত্রের ভিত্তি নড়বড়ে করছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতি সত্ত্বেও বেকারত্ব এবং আয় বৈষম্য সমাজে অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শেখ হাসিনার শাসনকালকে মূল্যায়ন করতে গেলে দেখা যায়, এটি উন্নয়ন ও বিতর্কের এক মিশ্র যুগ। একদিকে অর্থনৈতিক সাফল্য, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সামাজিক অগ্রগতি দেশকে এগিয়ে নিয়েছে। অন্যদিকে, গণতন্ত্রের সংকট, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সীমাবদ্ধতা এবং প্রশাসনিক দুর্নীতি উন্নয়নের ধারাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এটি একটি ‘উন্নয়নমূলক কর্তৃত্ববাদ’ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে, যেখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলেও গণতান্ত্রিক চর্চা ও মানবাধিকারের জায়গা সংকুচিত হয়েছে।

বিজয়ের মধুর স্বাদ শুধু অতীতেই সীমাবদ্ধ নয়, পরবর্তী বছরগুলোতেও নানা উত্থান-পতনের মাঝে আমরা সংগ্রাম করেছি নতুন বিজয় অর্জনের জন্য। একই সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদও আমাদের ছুঁয়ে গেছে।

আমি দেখেছি মানুষের দৃঢ়তা। দেখেছি গ্রামীণ অর্থনীতি থেকে শুরু করে পোশাকশিল্পের মতো ক্ষেত্রগুলোতে বাংলাদেশের বিশ্বজয়। দেখেছি ডিজিটাল যুগের বাংলাদেশ। কিন্তু এর পাশাপাশি, আমাদের চারপাশে অরাজকতা, দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতির দুর্বলতা বারবার প্রশ্ন তুলেছে। আমরা যখন অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের কথা বলি, তখন অনেকে এখনো পিছিয়ে থাকেন ন্যায্য অধিকার, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক বিষয় থেকে।

এখন বয়সের প্রান্তসীমায় দাঁড়িয়ে, আমি দেখতে চাই একটি প্রগতিশীল বাংলাদেশ। যেখানে গণতন্ত্র হবে মানুষের ক্ষমতায়নের প্রকৃত হাতিয়ার। যেখানে তরুণ প্রজন্মের উদ্ভাবনী শক্তি নেতৃত্ব দেবে। আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন রয়েছে সততা, নেতৃত্বের দায়বদ্ধতা এবং সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার।

আমি জানি, বিজয় এবং পরাজয় একে অপরের পরিপূরক। আমরা যত বারই ব্যর্থ হই না কেন, প্রতিবার উঠে দাঁড়ানোর শক্তি পাই এই দেশেরই মাটির রস থেকে। এদেশের মাটির গন্ধ ও উর্বরা শক্তির কোনো তুলনা হয় না। আমার ইচ্ছা, এই প্রজন্ম আমাদের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলবে, যেখানে গণতন্ত্র হবে সবার জন্য, উন্নয়ন হবে টেকসই, আর প্রতিটি নাগরিক সমান সুযোগ পাবে।

বিজয় এবং পরাজয় বারবার আমাদের পথচলায় এসেছে। তবে আমাদের জাতির সবচেয়ে বড় শক্তি হলো প্রতিবার নতুনভাবে উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা। আমি আশাবাদী, আমাদের আগামী দিনগুলো হবে সত্যিকারের বিজয়ের, যেখানে একটি ন্যায্য, সমৃদ্ধ এবং মানবিক বাংলাদেশ বাস্তবায়িত হবে।

আজ যখন কেউ নতুন বিজয়ের কথা বলে, তখন প্রশ্ন জাগে : একাত্তরের বিজয় কি তবে অসম্পূর্ণ ছিল? একাত্তর আমাদের যে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, তা কোনো চ্যালেঞ্জের বিষয় নয়। সেই বিজয় পূর্ণ এবং চিরকালীন। কিন্তু এর মানে এই নয় যে আমরা সব কাজ শেষ করে ফেলেছি। নতুন বিজয় মানে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা। দারিদ্র্য দূর করা, সামাজিক বৈষম্য দূর করা, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তোলা, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধন- এসব ক্ষেত্রে কাজ করতে হবে।

তবে নতুন প্রজন্মকে মনে রাখতে হবে যে, একাত্তরের চেতনা থেকেই আজকের এই বাংলাদেশ। একাত্তরের বিজয়কে চ্যালেঞ্জ করা নয়; বরং সেই বিজয়ের পাটাতনকে আরো শক্তিশালী করাই আমাদের কাজ।

আজকের তরুণদের প্রতি আমার আহ্বান : ইতিহাস জানুন, একাত্তরের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করুন। আমাদের পূর্বপুরুষরা যেভাবে রক্ত দিয়ে একটি জাতি গড়ে তুলেছিলেন, আপনাদের কাজ হবে সেই জাতিকে আরো সমৃদ্ধ করা। উন্নত প্রযুক্তি, জ্ঞানচর্চা এবং সামাজিক দায়িত্ববোধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে আরো উজ্জ্বল করতে হবে। একাত্তরের বিজয় ছিল সাহস, আত্মত্যাগ আর ঐক্যের বিজয়। সেই বিজয় আমাদের জাতীয় পরিচয়ের ভিত্তি। একে চ্যালেঞ্জ করা নয়, বরং এই চেতনাকে বহন করেই আমরা এগিয়ে যাব। নতুন বিজয় নয়, পুরনো বিজয়ের গৌরব ধরে রেখে নতুন দিগন্তে এগিয়ে যাওয়া- এই হোক আমাদের নতুন শপথ।

বিভুরঞ্জন সরকার : জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

bibhu54@yahoo.com

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে তদন্ত হবে: প্রেস সচিব

গত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে তদন্ত হবে: প্রেস সচিব

এমবাপ্পের জাদু, নাটকীয় জয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল

এমবাপ্পের জাদু, নাটকীয় জয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল

৭ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

৭ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা ইলন মাস্কের

নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা ইলন মাস্কের

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App