×

সম্পাদকীয় ও মুক্তচিন্তা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপড়েন

Icon

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপড়েন

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই সম্পর্ক এক অভূতপূর্ব উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব নেয়ার প্রেক্ষাপটে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও বহুমাত্রিক সম্পর্ক নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছে। রাজনৈতিক পরিবর্তনের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক এখন দ্ব›দ্বময় এবং অবিশ্বাসে ঘেরা।

শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক ছিল কৌশলগতভাবে উষ্ণ। বিশেষত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নিরাপত্তা এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা রক্ষায় হাসিনা সরকারের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য ছিল। কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ভারতের বিজেপি সরকারের আস্থাহীনতা এবং উদ্বেগ এই সম্পর্ককে জটিল করে তুলেছে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নতুন সরকারের প্রতি আনুষ্ঠানিক অভিনন্দন জানালেও পরবর্তী সময়ে তাদের কার্যকলাপ এই সৌহার্দের বিপরীত চিত্র তুলে ধরেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর ভারত বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা শুরু করেছে। বিশেষত সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতে গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং রাজনৈতিক সংগঠনগুলো বাংলাদেশকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। এই প্রচারণায় বিকৃত তথ্য, ভুল ব্যাখ্যা এবং গুজব ছড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অথচ শেখ হাসিনার আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অসংখ্য ঘটনা ঘটলেও ভারত সেগুলো উপেক্ষা করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি ভারতের দ্বৈতনীতি এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অবস্থানের পরিচায়ক।

ভারতের এই আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের কৌশলগত প্রতিক্রিয়া এখনো পর্যাপ্ত বলে মনে করা যাচ্ছে না। সাবেক কূটনীতিক ও বিশ্লেষকরা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থানকে তিনটি মূল দুর্বলতার মাধ্যমে চিহ্নিত করেছেন। প্রথমত, বাংলাদেশ ভারতের কোনো বিবৃতি বা পদক্ষেপের পরই প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে, যা আগাম পদক্ষেপ নেয়ার অভাবকে স্পষ্ট করছে। দ্বিতীয়ত, সব অপপ্রচারের জবাব না দিয়ে বাছাই করা কয়েকটি বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো হচ্ছে। এটি অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থানকে দুর্বল করে তুলছে। তৃতীয়ত, বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া এবং বিবৃতির ভাষা অত্যন্ত নমনীয়, যা ভারতের তুলনায় যথাযথ প্রতিক্রিয়ার অভাব নির্দেশ করে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উচিত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য সক্রিয় কৌশল গ্রহণ করা। ভারতীয় অর্থনীতি এবং নিরাপত্তায় বাংলাদেশের অবদানকে তুলে ধরা অত্যন্ত জরুরি। ভারত বাংলাদেশ থেকে বছরে গড়ে ১ হাজার কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। পাশাপাশি লাখো বাংলাদেশি চিকিৎসা, পর্যটন এবং ব্যবসার জন্য ভারতে যান, যা থেকে ভারতের বিপুল অর্থনৈতিক সুবিধা হয়। এসব বাস্তবতা তুলে ধরে বাংলাদেশকে বোঝাতে হবে যে, সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখা উভয় দেশের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ।

সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যেই আগামী ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক (এফওসি) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই বৈঠক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হতে পারে। তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এই বৈঠকে সাবধানী ভূমিকা নিতে চায়। শেখ হাসিনার শাসনামলের প্রসঙ্গ তুলে ভারতকে বিব্রত করতে চাইছে না বাংলাদেশ। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, বর্তমান সরকার সম্পর্কের উত্তেজনা প্রশমনে আগ্রহী। কিন্তু এফওসিতে ভারত কতটুকু আন্তরিক ভূমিকা রাখবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

ভারতের মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণার জবাবে বাংলাদেশের মিডিয়া এবং কূটনৈতিক কাঠামোকে আরো শক্তিশালী হতে হবে। বিশেষত ভারতীয় মিডিয়ার মিথ্যাচার ও গুজবের জবাব ফ্যাক্ট চেকের মাধ্যমে তুলে ধরা জরুরি। বাংলাদেশের মিডিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা আরো দৃশ্যমান ও সক্রিয় হওয়া উচিত। বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় কূটনৈতিকভাবে কার্যকর ও সঠিক ভাষায় জবাব দিতে হবে। ভারতীয় মিডিয়ার পাশাপাশি দেশটির বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনের সামনে সহিংস বিক্ষোভ এবং বাংলাদেশিদের চিকিৎসাসেবায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি এই উত্তেজনার বহিঃপ্রকাশ। এমনকি ভিসা সীমিত করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে বিশ্বাসের সংকট বাড়িয়ে তুলছে। এর মধ্যে সম্প্রতি ভারতের ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে নজিরবিহীন হামলার ঘটনা দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন করে উত্তপ্ত করেছে। ত্রিপুরার আগরতলায় ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’র ব্যানারে সংগঠিত এ হামলায় কয়েকশ ব্যক্তি হাইকমিশনের সীমানা লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। হাইকমিশনের সাইনবোর্ড ভাঙচুর এবং আগুন লাগানো হয়। সীমান্তবর্তী স্থলবন্দরগুলোতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে ভারতীয় বিক্ষোভকারীরা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় এবং বাংলাদেশি পণ্য পুড়িয়ে দেয়।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হামলা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ভিয়েনা সনদ অনুযায়ী ভারতের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ভারতের পক্ষ থেকে হামলাকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করা হলেও দায়ীদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রæতি দেয়া হয়নি। তবে হামলার ঘটনায় ৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও ৭ জন হামলাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি এবং ভারতে তার আশ্রয় নেয়ার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক উত্তেজনার মধ্যে রয়েছে।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ মঞ্চের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ৩ ডিসেম্বর আকস্মিকভাবে গ্রেপ্তার, জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর সংখ্যালঘু নিপীড়নের অভিযোগকে কেন্দ্র করে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপি ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলে।

আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে স্মারকলিপি দিতে যাওয়া ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’র একটি দল আক্রমণকারীদের জন্য আড়াল হিসেবে কাজ করে। হামলাকারীরা পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলে এবং কূটনৈতিক কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। ত্রিপুরার পুলিশ এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল হয়। খুলনায় ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ হামলার নিন্দা জানিয়ে একে ‘পরিকল্পিত’ বলে অভিহিত করে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টাও ভারতীয় গণমাধ্যমের মিথ্যাচার ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতি ইঙ্গিত দেন।

ভারতীয় বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় সমাবেশ করে এবং কয়েক জায়গায় শূন্যরেখা অতিক্রম করে। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী পেট্রাপোলে সীমান্তে সমাবেশ করে বাংলাদেশে পণ্য সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দেন। এ কর্মসূচির প্রভাব পড়ে শুল্ক স্টেশনগুলোতে। ভারতের শ্রীভূমি শুল্ক স্টেশনে ‘চল বাংলাদেশ’ কর্মসূচির নামে অবরোধ সৃষ্টি করা হয়। করিমগঞ্জের বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক পুড়িয়ে দেয় এবং আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়। ভারতীয় গণমাধ্যম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্যামলী পরিবহনের বাস দুর্ঘটনাকে হামলা হিসেবে তুলে ধরে উসকানিমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যদিও স্থানীয় পুলিশ এবং বাস চালকের বক্তব্য অনুযায়ী, এটি একটি সাধারণ দুর্ঘটনা ছিল। তা সত্ত্বেও ত্রিপুরার পরিবহন মন্ত্রী এবং ভারতীয় গণমাধ্যম ঘটনাটিকে রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক রূপ দেয়ার চেষ্টা করে। ভারতের মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সামনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিক্ষোভও এই উত্তেজনার আরেকটি উদাহরণ। বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের কাছাকাছি অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করা হয়, যা ভিয়েনা সনদ লঙ্ঘন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এ উত্তেজনা সামাল দেয়ার জন্য শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক পথ অনুসরণের আহ্বান জানানো হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ভারতবিরোধী নয় এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষায় প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। একই সঙ্গে সরকার বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগকে ‘মনগড়া’ বলে অভিহিত করে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ঐতিহাসিক এবং দীর্ঘদিনের। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হিসেবে উপস্থিত হয়েছে। সহকারী হাইকমিশনে হামলা এবং সীমান্তে বাণিজ্য বন্ধের হুমকি এই সংকটকে আরো ঘনীভূত করেছে। দুই দেশকেই কূটনৈতিক পথে এই সংকট নিরসনে কাজ করতে হবে এবং ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে গুজব ও মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। তবে এই উত্তেজনা এবং সংকটের মধ্যেও দুই দেশের সম্পর্ক বহুমাত্রিক বাস্তবতায় আবদ্ধ। সীমান্ত সমস্যা, নদীর পানিবণ্টন, বাণিজ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে সহযোগিতা ছাড়া দুই দেশের জন্যই দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা রক্ষা কঠিন হবে। ভারতের পররাষ্ট্র নীতিতে বাংলাদেশকে নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার আলোকে স্থান দেয়া জরুরি।

বাংলাদেশের বর্তমান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার মতে, ভারতকেও উপলব্ধি করতে হবে যে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সম্পর্ক এগিয়ে নেয়া ছাড়া বিকল্প নেই। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক শক্তি এবং কৌশলগত ভূমিকা ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের সরকার ও জনগণের মধ্যে তিক্ততা কমিয়ে আনতে পারস্পরিক বোঝাপড়ার ঘাটতি দূর করতে হবে। এটি স্পষ্ট যে, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন এক কঠিন পরীক্ষার মুখে। কূটনৈতিকভাবে সঠিক ও দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক পুনর্গঠনের বিষয়টি সামনে এসেছে।

মোনায়েম সরকার : কলাম লেখক, মহাপরিচালক; বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ।

bfdrms@gmail.com

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা

এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা

অবৈধ অস্ত্র মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রিমান্ডে

অবৈধ অস্ত্র মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রিমান্ডে

বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন মিশন অস্ট্রেলিয়া

বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন মিশন অস্ট্রেলিয়া

নেত্রকোণা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গ্রেপ্তার

নেত্রকোণা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গ্রেপ্তার

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App