×

গল্প

সায়েন্স ফিকশন: নক্ষত্রের ডাক

Icon

এমএ সায়েম

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০০ পিএম

সায়েন্স ফিকশন: নক্ষত্রের ডাক

স্পার্কেল সংস্থাটি পৃথিবীর অন্যতম বড় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা যেটির গবেষণাগার মঙ্গলেও স্থাপন করা হয়েছে।

   

২১১২ সাল। পৃথিবী জলবায়ু পরিবর্তনের কবলে। টিকে থাকার জন্য, মানুষ মঙ্গল গ্রহে অভিবাসন শুরু করে। যদিও সেখানে খুব অল্প জায়গায় মানুষ বসতি স্থাপন করতে পেরেছে। তাদের একমাত্র শহরের নাম New Dawn Underground city. 

নিঃসন্তান বিপত্নীক ডঃ ডেভিড দীপ্তিকর, একজন খ্যাতিমান জ্যোতির্বিদ, এই মঙ্গল অভিবাসনের প্রকল্পে যোগদান করেন। ওনার স্ত্রী অভিবাসনের সময় ট্র্যাজিক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। 

মঙ্গল গ্রহে জীবন কঠিন এবং বিপজ্জনক। ঝড়, বিকিরণ এবং খাদ্য ও জলের অভাব নিয়মিত হুমকি। মানুষ ভূগর্ভস্থ বসতিতে বাস করে, যেখানে তারা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে টিকে থাকে,চাষ হয় গ্রীণহাউজ পদ্ধতিতে। তারা মঙ্গল গ্রহকে তাদের নতুন বাড়ি করে তুলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, এবং তারা বিশ্বাস করে যে একদিন তারা পৃথিবীকেও আবার সুন্দর করতে সক্ষম হবে।

বিজ্ঞানী ডেভিডের মনে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বহুবছর: মহাবিশ্বে কি আমরা একা? তিনি বিশ্বাস করতেন যে মহাবিশ্বে অন্য কোনো গ্রহে আরও প্রাণী রয়েছে এবং মানুষের মতো বুদ্ধিমান প্রাণীও রয়েছে। এই বিশ্বাস থেকে মঙ্গলের কক্ষপথে তিনি একটা স্যাটেলাইট বসান যেটার কাজ ছিল মহাকাশে অনবরত বর্তা প্রেরণ এবং বার্তা গ্রহণের প্রচেষ্টা চালানো। 

এক রাতে, তার পর্যবেক্ষণালয়ে কাজ করার সময়, ডঃ ডেভিড একটি অদ্ভুত সংকেত পান। সংকেতটি নিকটবর্তী একটি  নক্ষত্রজগতের কোনো গ্রহ থেকে আসছিল যা একটি জটিল গাণিতিক প্যাটার্ন অনুসরণ করছিল। ডঃ ডেভিড বিশ্বাস করেন যে এটি বুদ্ধিমান জীবনের বার্তা হতে পারে।

ডঃ ডেভিড তার দলবল নিয়ে সংকেতের উৎসের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করার উপায় খুঁজে বের করার কাজ শুরু করেন। ডঃ ডেভিডের মহাকাশ গবেষণার একটি সংগঠন আছে 'স্পার্কেল' (Sparkle) নামে। সংস্থাটি পৃথিবীর অন্যতম বড় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা যেটির গবেষণাগার মঙ্গলেও স্থাপন করা হয়েছে। 'স্পার্কেল'  একটি শক্তিশালী রেডিও টেলিস্কোপ তৈরি করে এবং নক্ষত্রের দিকে বার্তা পাঠাতে শুরু করে। কয়েকবছর ধরে মঙ্গলের গবেষণাগার থেকে বার্তা পাঠানো হয় কিন্তু তারা কোন প্রতিক্রিয়া পায় না। টিমের লোকেরা অনেকে আশা হারাতে শুরু করে।  কিন্তু ডঃ ডেভিড হাল ছাড়েন না। তিনি জানেন যে তিনি কিছু সঠিক করেছেন।

অবশেষে একদিন, তারা একটি প্রতিক্রিয়া পান ভীননক্ষত্রীদের থেকে। এটি ছিল একটি জটিল বার্তা, যা অ্যালিয়েন ভাষায় লেখা। ডঃ ডেভিড এবং তার দল বার্তাটি ডিক্রিপট করতে শুরু করে এবং তারা যা আবিষ্কার করে তা তাদের হতবাক করে দেয়।

বার্তায়, অ্যালিয়েনরা পৃথিবীর মানুষের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার ইচ্ছা প্রকাশ করে। তারা পৃথিবী এবং মঙ্গল সম্পর্কে তাদের কাছে তথ্য শেয়ার করার প্রস্তাব দেয়, এতে করে তারা মানুষকে তাদের নতুন গ্রহে টিকে থাকতে এবং উন্নত করতে সাহায্য করবে, পৃথিবীকে আবার বসবাসযোগ্য করতেও সহায়ক হবে। বর্তা-প্রেরক জিরোন প্ল্যানেট থেকে আয়লা জেরা। বার্তার সাথে তাদের গ্রহে পৌঁছানোর সুবিধার্থে একটি ম্যাপ ও একটা বিশেষ রকমের স্পেসশিপের মডেল যুক্ত করা।  

ফিরতি বার্তায় ডেভিড জিরোনের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে সম্মতি প্রকাশ করে এবং সেসময়কার পৃথিবী ও মঙ্গলের অবস্থা সম্পর্কে জানায়৷ 

ডঃ ডেভিড এবং তার সংস্থা 'স্পার্কেল' এই অভাবনীয় প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু করে। তারা সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে অ্যালিয়েনদের সাথে যোগাযোগ করা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও, এটি একটি সুযোগ যা হাতছাড়া করা যাবে না। তারা আয়লার দেওয়া নকশা অনুযায়ী নিউক্লার পাওয়ারড একটি  মহাকাশযান তৈরি করে এবং এটিতে চড়ে অ্যালিয়েন গ্রহে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়। মহাকাশযানটির নাম রাখে 'এলিয়েন-১' যার যাত্রী সংখ্যা ছিল ১০ জন।

কিন্তু তাদের অজান্তে, পৃথিবীর একটি গোপন সংস্থা 'লুমড' এই মিশন সম্পর্কে জানতে পারে। তারা বিশ্বাস করে যে অ্যালিয়েনরা হুমকি, এবং তারা মহাকাশযানটিকে ধ্বংস করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করে।

স্পার্কেল এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জানতে পারেনা কিছুই। তবে বাধা আসতে পারে এব্যাপারে তাদের মানসিক প্রস্তুতি ছিল। 

নক্ষত্রের ডাক: রোমাঞ্চ ও রহস্যের ঘূর্ণিপাকে

গোপন সংস্থা 'লুমড' এলিয়েন-১ মহাকাশযান কে ধ্বংস করার জন্য একটি হ্যাকার গ্রুপকে নিয়োগ করে। মহাকাশে উৎক্ষেপণের কয়েক ঘন্টা যেতেই হ্যাকাররা এলিয়েন-১ এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং এটিকে একটি ব্লাকহোলে নিক্ষেপ করার পরিকল্পনা করে। 

ডঃ ডেভিড এবং তার দল হতবাক হয়ে দেখে যে তাদের মহাকাশযান অজানা শক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। তাদের অবশ্যই দ্রুত কাজ করতে হবে যাতে হ্যাকারকে থামানো যায় এবং মহাকাশযানটিকে ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষা করা যায়,তারা হেডকোয়ার্টারে যোগাযোগের চেষ্টা চালায়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা কিছুই করতে পারেনা বরং চেয়ে চেয়ে দেখে অজানা পথে এলিয়েন-১ এর যাত্রা। অন্যদিকে 'লুমড' সদস্যরা ধ্বংস করার পৈশাচিক আনন্দ নিয়ে অপেক্ষায় থাকে এলিয়েন-১ কৃষ্ণগহ্বরে হারিয়ে যাওয়ার, তাদের হেডকোয়ার্টার কেঁপে ওঠে শয়তানি হাসিতে। 

সময় কমে আসছে এবং ডঃ ডেভিড ও তার দল হতাশ হয়ে পড়ছে এমন সময় হঠাৎ একজন অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির চেহারা ভেসে ওঠে স্পেশশিপ এলিয়েন-১ এর স্ক্রিনে। সাবেক সিক্রেট এজেন্ট নীলের হাসিমুখ দেখা যায় স্ক্রিনে, নীল ডেভিডকে দুশ্চিন্তা করতে মানা করেন। মিস্টার নীল, ডঃ ডেভিডের বন্ধু, ডেভিড নীলকে আগে থেকেই জিরোন অভিযান সম্পর্কে বলে রেখেছিলেন। নীল একজন সাবেক গোপন এজেন্ট এবং আইটি এক্সপার্ট। তিনি এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগের পক্ষে।

আইটি এক্সপার্ট মিস্টার নীল ডঃ ডেভিড এবং তার দলকে হ্যাকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং মহাকাশযানকে রক্ষা করতে সাহায্য করেন।  তারা একসাথে কাজ করে, তাদের দক্ষতা এবং জ্ঞান ব্যবহার করে হ্যাকারের নিয়ন্ত্রণ থেকে স্পেসশিপ এলিয়েন-১ কে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত করে। 

অবশেষে, তারা হ্যাকারকে পরাজিত করে এবং মহাকাশযানকে নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে আনে। এরপর তারা তাদের যাত্রা চালিয়ে যায় এবং জিরোন গ্রহের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।

কিন্তু তাদের অজান্তে, তারা এখনও বিপদে রয়েছে। 'লুমড' হাল ছাড়ে না এবং তারা ডঃ ডেভিড এবং তার দলকে যেকোনো উপায়ে থামাতে প্রস্তুত।

ডঃ ডেভিড এবং তার দলকে অবশ্যই তাদের যাত্রা চালিয়ে যেতে হবে, অ্যালিয়েনদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে এবং মানবতার ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে হবে।

নক্ষত্রের ডাক: রহস্যের গভীরতায়

মহাকাশযানটি জিরোনের দিকে এগিয়ে যায়। ডঃ ডেভিড এবং তার দল আশা ও উত্তেজনায় সময় পার করছে। তারা অবশেষে অজানা প্রজাতির সাথে যোগাযোগ স্থাপনের কাছাকাছি।

কিন্তু তাদের অজান্তে, গোপন সংস্থা 'লুমড' তাদের পিছু করছে। তারা একটি শক্তিশালী মহাকাশ-যুদ্ধযান পাঠিয়েছে যেটিকে ডেভিডের মহাকাশযানটিকে ধ্বংস করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ডঃ ডেভিড এবং সহযোগীরা যুদ্ধযানটি সম্পর্কে শীঘ্রই অবগত হয়। যুদ্ধযানটি ডেভিডের স্পেসশিপের দিকে ধেয়ে আসে এবং আক্রমণ শুরু করে। ততক্ষণে স্পেসশিপটি  জিরোনের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে। 

ডঃ ডেভিড এবং তার দল হতবাক হয়ে পড়ে। তাদের কাছে যুদ্ধযানের বিরুদ্ধে লড়াই করার কোনো উপায় নেই। লক্ষ্যের এত কাছাকাছি এসে তারা ধ্বংসের অপেক্ষায় করতে বাধ্য হয়। 

কিন্তু হঠাৎ, জিরোন থেকে একটি রহস্যময় রশ্মি বেরিয়ে আসে। রশ্মি যুদ্ধযানকে আঘাত করে এবং এটিকে ধ্বংস করে।

ডঃ ডেভিড ও তার দল রক্ষা পেয়েছে, কিন্তু তারা বিস্মিত এবং বিভ্রান্ত। কোন অ্যালিয়েন তাদের এতটা সাহায্য করেছে?

তারা অ্যালিয়েন গ্রহের পৃষ্ঠে একটি বিরাট ফাঁকা স্থানে তাদের স্পেসশিপ ল্যান্ড করায়। সাথে সাথেই উড়ে এসে তাদেরকে ঘিরে ফেলে চারটি ছোট সাইজের স্পেসকার। স্পেসকার গুলির প্রতিটি থেকে ৮ জন করে এলিয়েন বেরিয়ে এসে মিশন জিরোন টিমকে অভিবাদন জানায় এবং কিছুক্ষণের মধ্যে আরেকটি অপেক্ষাকৃত বড় স্পেসকার এসে উপস্থিত হয় যেটাতে ডঃ ডেভিডদের ইশারায় প্রবেশ করতে বলা হয়। জিরোন গ্রহের এলিয়েনরা মানুষের চেয়ে অনেক লম্বা এবং পাতলা। তাদের ত্বক কালচে সবুজ রঙের।

এলিয়েনের বড়, কালো চোখ এবং একটি ছোট নাক আছে এবং তার মাথায় কোন চুল নেই। তার দুটি হাত এবং দুটি পা আছে, প্রতিটি হাতে আটটি আঙুল বিদ্যমান। তাদের পরহিত কাপড়গুলো মূলত কাপড় নয় কেবল বরং পুরোটাই স্মার্ট স্ক্রিন। কাপড়টি এখন গাড় বেগুনি কালারে রয়েছে এবং প্রত্যেকের বুকের কাছে স্থানীয় ভাষায় কিছু একটা লেখা, সম্ভবত তাদের নাম পরিচয় হবে। পোশাকটি ঢোলা আলখাল্লা ধরেনের, জুতার কিছুটা ওপর অব্দি ঝুলে আছে। 

ডঃ ডেভিড ও তার মিশন জিরোন টিম অবাক হচ্ছে আর ভাবছে রহস্যময় রশ্মিটির উৎস কি? তাদেরকে একটি বিশাল শহরে প্রবেশ করানো হয় যা প্রযুক্তির অলৌকিক অগ্রগতির সাথে পূর্ণ। এর প্রকৃতি অত্যন্ত সুন্দর এবং সবুজ কিন্তু গাছপালাগুলো পৃথিবীর গাছপালার মতো নয়, সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং বড় আকার আকৃতির। প্রকৃতি আর আধুনিকতার সংমিশ্রণ দেখে পৃথিবীর অধিবাসীরা অবাক হয় আর নিজেদের নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে। 

তাদেরকে শহরের কেন্দ্রে একটি বিশাল ভবন নিয়ে যাওয়া হয়। ভবনের ভেতরে, তারা একজন অ্যালিয়েনের সাথে দেখা করে যিনি তাদের স্বাগত জানান। ইনিই হচ্ছেন আয়লা জেরা৷ আয়লার পোশাকটি সোনালী রঙ ধারণ করে আছে এবং তার মাথায় কাপড়ে ঢাকা। প্রযুক্তির সহায়তায় তারা একে অন্যের ভাষায় ট্রান্সলেট করার ব্যবস্থা করে। আয়লা জানায় সে এই গ্রহের বর্তমান প্রধান বা রানী। তার বাবা মারা যাওয়ার পরে সে গ্রহের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে৷ জিরোন গ্রহের নাম তাদের বংশের নাম জেরা থেকে এসেছে। 

আয়রা ডঃ ডেভিড এবং তার দলকে জানায় যে তারা মানবতার সম্ভাবনায় বিশ্বাস করে এবং তারা তাদের সাহায্য করতে চায়। তারা মানুষকে তাদের প্রযুক্তি শেয়ার করার এবং মহাবিশ্বকে আবিষ্কারে সাহায্য করার প্রস্তাব দেয়, জানায় তাদের কাছে ইতিমধ্যে মহাবিশ্বের বড় একটি 'ইন্টার গ্যালাক্টিক ম্যাপ' আছে এবং তারা এটিকে আরও সমৃদ্ধ করতে মানুষের সাহায্য চায়৷ 

ডঃ ডেভিড এবং তার দল অ্যালিয়েনদের প্রস্তাব গ্রহণ করে। তারা জানে যে এটি মানবতার জন্য একটি অসাধারণ সুযোগ। ডঃ ডেভিড ম্যাপ ও প্রযুক্তি নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। 

তারা অ্যালিয়েনদের সাথে কাজ শুরু করে এবং তাদের প্রযুক্তি এবং জ্ঞান সম্পর্কে শিখতে শুরু করে। তারা দ্রুত বুঝতে পারে যে অ্যালিয়েনরা শান্তিপূর্ণ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ প্রজাতি।

ডেভিডরা পৃথিবীতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় যাতে তারা অ্যালিয়েনদের সম্পর্কে এবং তাদের প্রস্তাব সম্পর্কে মানুষকে জানাতে পারে। তারা জানে যে এটি একটি কঠিন কাজ হবে। অনেক লোক অ্যালিয়েনদের প্রতি সন্দেহ প্রবণ হবে, এবং কিছু লোক এমনকি তাদের হুমকি হিসাবে দেখতে পারে।

নক্ষত্রের ডাক: পৃথিবীতে ফিরে আসা

ডঃ ডেভিড এবং তার দল পৃথিবীতে ফিরে আসে এবং অ্যালিয়েনদের সাথে তাদের যোগাযোগ এবং তাদের প্রস্তাব সম্পর্কে বিশ্বকে জানাতে শুরু করে।

তারা একটি প্রেস কনফারেন্স আয়োজন করে যেখানে তারা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে এবং অ্যালিয়েনদের সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দেয়।

বিশ্ব হতবাক এবং উত্তেজিত। অনেকেই এলিয়েনদের প্রতি সন্দেহ প্রবণ, কিন্তু অনেকেই তাদের বার্তায় আশা দেখে।

ডঃ ডেভিড বিশ্বকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে যে এলিয়েনরা শান্তিপূর্ণ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ প্রজাতি। তারা বিশ্বাস করে যে এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগ মানবতার জন্য একটি অসাধারণ সুযোগ।

কিন্তু অনেকেই তাদের বিশ্বাস করে না। কিছু লোক বিশ্বাস করে যে এলিয়েনরা পৃথিবী দখল করার পরিকল্পনা করছে। অন্যরা বিশ্বাস করে যে অ্যালিয়েনরা মানবতার জন্য বিপজ্জনক প্রযুক্তি শেয়ার করবে।

গোপন সংস্থা 'লুমড' এখনও এলিয়েনদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তারা বিশ্বাস করে যে এলিয়েনরা হুমকি এবং তাদের ধ্বংস করা উচিত।

গোপন সংস্থাটি একটি পরিকল্পনা তৈরি করে এলিয়েনদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে। তারা মহাবিশ্বের প্রথম নিউক্লিয়ার বোমাবাহি আন্তগ্রহীও মিসাইল বানায় এবং অ্যালিয়েন গ্রহের দিকে ছুঁড়ে দেয়।

ডঃ ডেভিড এবং তার দল তাদের বন্ধু সাবেক সিক্রেট এজেন্ট নীলের সহায়তায় আক্রমণ সম্পর্কে জানতে পারে এবং এটি থামানোর জন্য কাজ করে। নীল ঐ ঘটনার পর থেকে 'লুমড' এর ব্যাপারে খোঁজখবর রেখে চলছে এবং তাদের প্রতিরোধের পরিকল্পনা করেছে। ডঃ ডেভিড অ্যালিয়েনদের সাথে যোগাযোগ করে এবং মিসাইল সম্পর্কে তাদের সতর্ক করে।

অ্যালিয়েনরা মিসাইলটি ধ্বংস করতে সক্ষম হয় কিন্তু তারা রাগান্বিত। তারা বিশ্বাস করে যে মানবতা বিশ্বস্ত নয় এবং তাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

ডঃ ডেভিড কিছুটা হতাশ হন। তিনি বিশ্বাস করেন যে মানবতা একটি মহান সুযোগ হারিয়েছে। কিন্তু তারপরও তিনি হাল ছাড়েন না। তিনি জানেন যে এখনও কিছু মানুষ আছে যারা অ্যালিয়েনদের সাথে শান্তি চায়।

তিনি এই লোকেদের একত্রিত করতে শুরু করেন এবং একটি নতুন আন্দোলন তৈরি করেন যার লক্ষ্য হল অ্যালিয়েনদের সাথে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা। এই আন্দোলন দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং শেষ পর্যন্ত এটি বিশ্বব্যাপী সমর্থন অর্জন করে।

গোপন সংস্থা 'লুমড' এর বিরুদ্ধে নীল এর সহায়তায় সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং বিরাট লড়াইয়ের পরে তাদের পরাস্ত করা সম্ভব হয়, ধ্বংস করা হয় 'লুমড' হেডকোয়ার্টার। এই ঘটনার পরে অ্যালিয়েনরা মানবতার সাথে যোগাযোগ পুনরায় শুরু করতে সম্মত হয়।

মানবতা এবং অ্যালিয়েনরা একটি নতুন যুগ শুরু করে শান্তি ও সহযোগিতার।

নক্ষত্রের ডাক: নতুন যুগের সূচনা

মানবতা এবং অ্যালিয়েনরা একটি নতুন যুগ শুরু করে শান্তি ও সহযোগিতার। তারা একসাথে কাজ করে মহাবিশ্ব অন্বেষণ করে এবং নতুন জ্ঞান ও প্রযুক্তি বিকাশ করে।

ডঃ ডেভিড নতুন যুগের একজন নেতা হয়ে ওঠেন। তিনি মানবতা এবং অ্যালিয়েনদের মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে এবং তাদের সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে কাজ করেন।

তিনি মহাবিশ্ব ভ্রমণ করেন এবং বিভিন্ন অ্যালিয়েন সংস্কৃতি সম্পর্কে শিখেন। তিনি মানুষকে তাদের পক্ষপাত ও ভুল ধারণা কাটিয়ে উঠতে এবং মহাবিশ্বের অন্যান্য বুদ্ধিমান প্রাণীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে সাহায্য করেন।

এরপর কিছু বছর , মানবতা এবং অ্যালিয়েনরা শান্তিতে এবং সমৃদ্ধিতে বাস করে। তারা মহাবিশ্বে অনেক অগ্রগতি অর্জন করে এবং একটি উন্নত সভ্যতায় পরিণত হয়।

কিন্তু সবকিছুই নিখুঁত নয়। কিছু মানুষ এখনও অ্যালিয়েনদের প্রতি সন্দেহ প্রবণ এবং তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র তৈরি করে।

এছাড়াও, মহাবিশ্বে নতুন হুমকি দেখা দেয়। শত্রুতাপূর্ণ অ্যালিয়েন প্রজাতি এবং মহাজাগতিক দুর্যোগগুলি মানবতা এবং অ্যালিয়েনদের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দেয় ।

ডঃ ডেভিড এবং তার সহযোগীরা এই নতুন হুমকিগুলি মোকাবেলা করার জন্য একসাথে কাজ করে চলেছে, তাদের সহযোগিতায় আছে জিরোন গ্রহবাসীরা। তাদের অবশ্যই শান্তি বজায় রাখতে হবে এবং মানবতা এবং অ্যালিয়েনদের ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে হবে।

নক্ষত্রের ডাক: অজানা অন্ধকারে হাতছানি

মানবতা এবং অ্যালিয়েনরা একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। তারা মহাবিশ্ব অন্বেষণ করছে, নতুন জ্ঞান অর্জন করছে এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অর্জন করছে।

কিন্তু তাদের শান্তি দীর্ঘস্থায়ী হয় না। 

একটি নতুন হুমকি হিসেবে দেখা দেয়: দ্য ডার্ক সোর্স।

দ্য ডার্ক সোর্স নাম নিয়ে একটি রহস্যময় শক্তি  মহাবিশ্বকে ধ্বংস করার হুমকি দিয়ে বর্তা পাঠায়। এটি একটি ম্যালিগন্যান্ট এন্টাইটি যা সমস্ত জীবনের শক্তি শোষণ করে। 

চলবে....

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App