২০ ওভারে ২৯৭! তবুও বিশ্বরেকর্ড ছোঁয়া হলো না ভারতের

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৩ পিএম
-670a94826a269.jpg)
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ, ছবি: সংগৃহীত
এ যেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাস বদলে দেওয়া এক ম্যাচ দেখল বিশ্ব ক্রিকেট! হায়দরাবাদে ক্রিকেটের রেকর্ড বই ওলট-পালট করে দিলো টিম ইন্ডিয়া। কেবল দুটি ওভারে দুই অঙ্কের কম রান এসেছে। বাকি সব ওভারই সীমা ছাড়িয়েছে। স্যামসনের দ্রুততম সেঞ্চুরি আর সূর্যকুমারের ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরিতে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের রেকর্ড সর্বোচ্চ ২৯৭ রান সংগ্রহ করেছে ভারত।
যেকোন টেস্ট খেলুড়ে দেশের টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান এটি। এতদিন ২৭৮ রান নিয়ে সেই রেকর্ড নিজেদের দখলে রেখেছিল আফগানিস্তান। তবে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক নেপাল। এশিয়ান গেমসে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৩১৪ রান করেছিল তারা। এই রেকর্ড ভাঙা কিংবা ছোঁয়া না হলেও আইসিসির পূর্ণ সদস্য হিসেবে ওপরেই থাকবে টিম ইন্ডিয়া। এর আগে, বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ২২৪ রান।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৭ রানের রেকর্ড পুঁজি পেয়েছে ভারত। ম্যান ইন ব্লুদের হয়ে সর্বোচ্চ ১১১ রান করেন সাঞ্জু স্যামসন।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করেন ভারতীয় দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও সাঞ্জু স্যামসন। তবে এই জুটি আজ আর বড় হয়নি। দলীয় ২৩ রানে তানজিমের বলে শেখ মেহেদীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অভিষেক। ৪ বলে ৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর হায়দরাবাদের মাঠে শুধুই চার-ছক্কার বৃষ্টি। পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলেই দলীয় হাফ-সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলে টিম ইন্ডিয়া।
এরপর মোস্তাফিজকে আক্রমণে এনেও লাভ হয়নি। ১ চার এবং ১ ছক্কা হজম করেন দ্য ফিজ। তাসকিনের করা পঞ্চম ওভারে ২ চার ও এক ছক্কা এসেছে। ষষ্ঠ ওভারে তানজিম থেকে ৩ চার এবং এক ছক্কা আদায় করে ভারতীয় অধিনায়ক। তাদের তাণ্ডবে রীতিমতো দিশেহারা বাংলাদেশের বোলিং লাইন-আপ।
এর ১০ ওভার শেষে ভারতের রান গিয়ে দাঁড়ায় ১ উইকেট হারিয়ে ১৫২। বাংলাদেশের বোলারদের পিটিয়ে তুলোধুনো করেন স্যামসন ও সূর্যকুমার। মাত্র ৬০ বলেই তোলেন ১৫২ রান।
মাত্র ২২ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৫০ করা স্যামসন ৪০ বলে ৯ চার ও ৮ ছক্কায় ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিও তুলে নেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে যা দ্বিতীয় দ্রুততম। এতে ১৩ ওভারেই তাদের রান ছাড়িয়ে গেছে ১৯০। তবে সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ উইকেটে থিতু হতে পারেননি স্যামসন। মোস্তাফিজের বলে ডিপ-স্কয়ারে মেহেদীর হাতে ক্যাচ দেন স্যামসন। খেলেন ৪৭ বল, তাতে ১১ চার, ৮টি ছক্কা।
এরপর সূর্য ঝড়ে ১৪ ওভারেই দুইশ ছাড়ায় ভারতের পুঁজি। তবে দলীয় ডাবল সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ভারতীয় অধিনায়কও। তাকে ফিরিয়ে বিদায়ী উপহার দেন রিয়াদ। ফেরার আগে ৩৫ বলে ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন সূর্যকুমার।
এরপর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ১৬ দশমিক ৪ ওভারেই ২৫১ রান পেরিয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। স্যামসন ও সূর্যকুমারের পর হার্দিক পান্ডিয়া ও রিয়ান পরাগ ঝড় তোলেন। মাত্র ১৯ বলে দলীয় সংগ্রহে যোগ করেন ৫২ রান তারা।
তবে দলীয় ২৭৬ রানে ফেরেন রিয়ান পরাগ। তাসকিনের বলে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৩ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৪ রানে ফেরেন তিনি।
এরপর হার্দিক প্যাভিলিয়নে ফিরলে দলীয় তিনশ ছুঁতে পারেনি ভারত। তানজিম হাসানের টানা দুই বলে হার্দিক পান্ডিয়া আর নীতিশ রেড্ডি বাউন্ডারিতে ক্যাচ দেন। তবে শেষ বলে রিংকু সিং ছক্কায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯৭ রান তুলেছে ভারত।