
প্রিন্ট: ২০ জুন ২০২৫, ১১:১৮ এএম
আরো পড়ুন
অলিম্পিকে লড়লেন মিসরের অন্তঃসত্ত্বা অ্যাথলেট

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৪, ০৪:০০ পিএম

নাদা হাফেজ
পেশায় একজন চিকিৎসক, স্পষ্ট করে বললে প্যাথলজিস্ট (রোগনিরূপণবিদ)। এবার প্যারিস অলিম্পিকের ফেন্সিংয়ে লড়লেন ২৬ বছর বয়সী মিসরীয় এই নারী। তবে একা নন, গর্ভে ৭ মাসের সন্তান নিয়ে লড়েন তিনি। নিজেই বিষয়টি জানিয়েছেন। এ নিয়ে টানা তিন অলিম্পিকে মেয়েদের ব্যক্তিগত স্যাবরে ইভেন্টে অংশ নিলেন নাদা হাফেজ।
সোমবার (২৯ জুলাই) প্যারিসের গ্রঁ পালাইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এলিজাবেথ তারতাকোভস্কিকে ১৫-১৩ পয়েন্টে হারিয়ে শেষ ষোলোতে জায়গা করে নেন। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার মিশনে দক্ষিণ কোরিয়ান প্রতিযোগী হা–ইয়াং জিওনের সঙ্গে ১৫–৭ পয়েন্টে হেরে যান নাদা।
বিদায়বেলায় দর্শকদের করতালিতে সিক্ত-ও হন। দর্শকদের অভিবাদনের জবাবে কেঁদেও ফেলেন। ম্যাচের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেঁদে ফেলার কারণ ব্যাখ্যা করেন নাদা।
ইনস্টাগ্রামে নাদার ভাষ্য, ‘পোডিয়ামে (বিজয় মঞ্চে) আপনারা দুজন খেলোয়াড়কে দেখেছেন, আসলে আমরা তিনজন ছিলাম! আমি, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী এবং আমার ছোট্ট সন্তান, যে এখনও পৃথিবীতে আসেনি। আমি এবং আমার অনাগত সন্তান সমানভাবে লড়াই করেছি চ্যালেঞ্জ নিয়ে। এটা যেমন শারীরিক লড়াই ছিল, তেমনি মানসিকও।’
তিনি যোগ করেন, ‘গর্ভাবস্থায় রোলারকোস্টার যাত্রা এমনিতেই কঠিন। তবে জীবন ও খেলাধুলার ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য এই লড়াই কোনো অংশে কম ছিল না। যদিও এটি আমার কাছে মূল্যবান। আমি ভাগ্যবান যে আমার স্বামী (ইব্রাহিম ইহাব) ও পরিবারের আস্থা অর্জন করেছি এবং এতদূর আসতে পেরেছি।’
মিশরীয় নারীদের শক্তির ওপর গুরুত্ব দিয়ে নাদা লেখেন, ‘আমার প্রিয় জাতির কাছে যখন আমার গর্ভাবস্থার কথা বলেছিলাম, তখন সেটি ছিল মিশরীয় নারীর শক্তি, অধ্যবসায় এবং নিরলসতার ওপর আলোকপাত করা। মিশরীয় ক্রীড়াবিদ, ডাক্তার এবং বেশিরভাগ নারী কী করতে পারেন, এটি তার স্পষ্ট এক বিজয় প্রদর্শন।’