বাবার কবর জিয়ারত করলেন নিজামীপুত্র মোমেন, মানুষের ঢল

লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পরদিন পাবনার সাঁথিয়ায় বাবার কবর জিয়ারত করলেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বড় ছেলে ব্যারিষ্টার নাজিবুর রহমান মোমেন। এ সময় জেলার সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ঢাকা থেকে বাঘাবাড়ি মোড়ে আসেন। সেখান থেকে নেতাকর্মীরা বিশাল বহর নিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপর বেড়ার সিএন্ডবি মোড়ে পথসভা শেষে বেলা ১টার দিকে সাঁথিয়ার মনমথপুর কবরস্থানে বাবার কবর জিয়ারত করেন।

এ সময় পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক আব্দুর রহিম, বেড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর ডা.আব্দুল বাছেদ, পাবনা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আবু সালেহ মো. আব্দুল্লাহ, সাঁথিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোখলেছুর রহমান, ধোপাদহ ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আব্দুল মান্নান মাষ্টারসহ উর্ধ্বতন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

আরো পড়ুন: মাজারে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

জানা গেছে, লন্ডন থেকে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান ব্যারিষ্টার নাজিবুর রহমান মোমেন। সেখানে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা জানান। এরপর আজ (শনিবার) সকাল ১১টার দিকে ঢাকা থেকে প্রথমে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি মোড়ে আসেন। সেখানে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের বিশাল বহর নিয়ে তাকে রিসিভ করা হয়। এরপর সেখান ১২টার দিকে বেড়ার সিএন্ডবি গোল চত্ত্বরমোড়ে পথসভা শেষে সাঁথিয়ার পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবর জিয়ারত করেন। এ সময় হাজারো মানুষের ঢল নামে। নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেষ্টুন ও প্লেকার্ড নিয়ে জড়ো হোন।

সাঁথিয়ায় উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মখলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মতিউর রহমান নিজামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দিয়েছে হাসিনা সরকার। তার সুযোগ্য সন্তান ব্যারিষ্টার নাজিবুর রহমান মোমেন আজকে পাবনায় এসেছেন। বাবার কবর জিয়ারত ও জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছে। আশা করি পাবনাবাসীর ভালোবাসায় সিক্ত হবেন তিনি। 

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১০ মে রাত ১২ টা এক মিনিটে জামায়াত আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এরপর পরদিন ১১ মে সকালে সাঁথিয়ার মনমথপুর ঈদগাহ মাঠে জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরে দিনব্যাপী ৪৬টি জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।