
প্রিন্ট: ০৫ জুন ২০২৫, ১২:২০ পিএম
আরো পড়ুন

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ০৫:৩৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের ৯৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বাকি অংশ দ্রুত শেষ করার কাজ চলছে। চলতি বছরের শেষ দিকে বা আগামী বছরের শুরুতে এটি চালু হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, পৃথিবীতে কোথাও এরকম কাজের ক্ষেত্রে এভাবে সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারে না। কারণ এটা হাইলি টেকনিক্যাল একটা কাজ। দেখা গেল গুছিয়ে এনেছেন, তখন নতুন করে অন্য আরেকটা কাজের জন্য আবার সময় লাগছে। এটা কোনোভাবেই পরিকল্পনা করে একদম টাইমমত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না।
ফারুক খান বলেন, আমাদের বিমানবন্দরের এ টার্মিনালটি অনেক সুন্দর, তবে সুন্দর হলেই হবে না। এটাকে পরিচ্ছন্নও রাখতে হবে। এজন্য সুন্দরভাবে মেনটেইন করতে হবে। আমি মনে করি, সিভিল এভিয়েশন এভাবেই তাদের ম্যানপাওয়ারকে তৈরি করবে।
বিমানমন্ত্রী বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনায় সক্ষমতা বাড়াতে এরই মধ্যে দ্বিতীয় রানওয়ে করার পরিকল্পনা চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের বর্তমান রানওয়েতে আইএলএস (ইন্সট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম) সিস্টেম উন্নত করা হচ্ছে। রেডারগুলো উন্নত করা হচ্ছে। দ্বিতীয় রানওয়ে নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা আছে। তবে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। যেহেতু আশপাশে অনেক বিল্ডিং হয়ে গেছে, আমরা দেখছি- কীভাবে দ্বিতীয় রানওয়ে চালু করা যায়।
আরো পড়ুন: জব্দের আগেই অ্যাকাউন্ট খালি করেছেন বেনজীর
লন্ডনের হিথ্রো এয়ারপোর্টের চেয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল অনেক আধুনিক জানিয়ে ফারুক খান বলেন, আমাদের এয়ারপোর্ট অনেক আধুনিক। উন্নত বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকেও অনেক উন্নত। তবে বিশ্বের সব আধুনিক বিমানবন্দরে লাগেজ হ্যান্ডেলিংস সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। যাত্রীরা ভাবে বিমান থেকে নামার পরপরই লাগেজ হাতে পাবে। এটা বিশ্বের কোনো দেশে হয় না। অন্তত ২০ থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। অনেক উন্নত দেশেও ৩ ঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। নতুন টার্মিনালের সুযোগ-সুবিধার উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এ টার্মিনালের ইমিগ্রেশন কাউন্টার অনেক বড় করা হয়েছে। এখানে ৫৪টি কাউন্টার স্থাপন করা হয়েছে। ১৫ মিনিটে প্রথম লাগেজ এবং ৪০ মিনিটে শেষ লাগেজ যাবে বলে আশা করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তৃতীয় টার্মিনাল গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ জাপানকে দিয়ে করাবো। জাপানের সঙ্গে লাগেজ হ্যান্ডলিং আমরা জয়েন্ট ভেঞ্চারে করব। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা জানায়নি কোন প্রতিষ্ঠান যুক্ত হবে। আশা করছি তারা দ্রুতই এটি জানাবে।
যাত্রী চাহিদা বিবেচনার নতুন এয়ারক্রাফট কেনা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এয়ারবাস এবং বোয়িং থেকে অফার করা হয়েছে। এটা নিয়ে মূল্যায়ন করার কাজ চলছে। যতো দ্রুত সম্ভব সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিমানমন্ত্রী বলেন, বিমান ভাড়ার বিষয়টা সাপ্লায়ার এবং বিমানের ব্যাপার। যারা এটার সঙ্গে জড়িত, তারা এক মাস আগে জানত। কিন্তু এটা নিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সি বা অন্য সাপ্লায়াররা ব্যবস্থা নেয়নি। এখন বিমান প্রতিদিন মালয়েশিয়ায় ৩ থেকে ৪টা করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইটের ব্যাপারে তারা একবার অবজারভেশন দিলে তা পূরণ করার পর আবার অবজারভেশন দেয়। এফএএ (ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) কী চায়, সেটি এখনো আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। এটা দুঃখজনক। আমরা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান, বিমানের এমডি জাহিদুল ইসলাম ভূঞা, শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনাল বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান