ঢাকা, বাংলাদেশ সোমবার, ০২ জুন ২০২৫ BETA VERSION
ভিডিও আর্কাইভ ইউনিকোড কনভার্টার আজকের পত্রিকা ই-পেপার
Logo
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • সারাদেশ
  • খেলা
  • বিনোদন
  • লাইফ স্টাইল
  • শিক্ষা
  • তথ্যপ্রযুক্তি

সব বিভাগ বিশেষ সংখ্যা ভিডিও আর্কাইভ আজকের পত্রিকা ই-পেপার ইউনিকোড কনভার্টার
Logo

প্রিন্ট: ০২ জুন ২০২৫, ০৭:০৬ পিএম

আরো পড়ুন

জাতীয়

‘জিয়া নিজে দরখাস্ত করে বাকশালের সদস্য হন’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৫৩ পিএম

‘জিয়া নিজে দরখাস্ত করে বাকশালের সদস্য হন’

ছবি: ভোরের কাগজ

আজকে যে বিএনপি মাঝেমধ্যে বাকশাল নিয়ে কটাক্ষ করে সেই বিএনপিকে বলবো, তাদের নেতা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য হওয়ার জন্য নিজে দরখাস্ত দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, দরখাস্ত দেওয়ার পাশাপাশি পত্রিকায় বাকশালের পক্ষে নিবন্ধ লিখেছিলেন। পরবর্তীতে তাকে বাকশালের সদস্য করা হয়েছিলো বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তর সম্মেলন কক্ষে লেখক গবেষক সুভাষ সিংহ রায় গ্রন্থিত ‘বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব ও বাকশাল’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া ও গ্রন্থকার সুভাষ সিংহ রায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে প্রথমে বাকশালের সদস্য করা হয়নি। সেনাবাহিনী প্রধান, বিমানবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধানকে করা হয়েছিলো। কিন্তু জিয়াউর রহমান ছিলেন উপপ্রধান। সে জন্য তাকে প্রথমে সদস্য করা হয়নি। তিনি দরখাস্ত দিয়ে সদস্য হয়েছিলেন, বাকশালের পক্ষে পত্রিকায় নিবন্ধও লিখেছিলেন। সুতরাং আজকে যে বিএনপি বাকশাল নিয়ে এতো কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়ায়, তাদের সেই কথা বলার নৈতিক অধিকার নেই।

তথ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার পরে ছয়জন সংসদ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল, পাটের গুদামে আগুন দেয়া হয়েছিল, হানাহানি করা হয়েছিল। সে জন্য বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন যে, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখা প্রয়োজন ও সেটির প্রেক্ষিতেই তিনি বাকশাল গঠন করেছিলেন। বাকশালের অধীনে একই প্লাটফর্মে সবাইকে আনা হয়েছিল, যারা নেতা ছিলেন তাদেরকে বাকশাল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছিল।

হাছান মাহমুদ বলেন, বাকশাল ব্যবস্থার সুফলও আমরা পেতে শুরু করেছিলাম। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৯.৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছিলো ও ১৯৭৫ সালে ১০ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদনের ফলে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছিলাম। চাল এবং অন্যান্য পণ্যের দাম যেটি বেড়েছিলো সেটি কমে এসেছিলো। বাকশালের অধীনে দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা ভালো হয়েছে। সে সময় ময়মনসিংহের একটি উপনির্বাচনে উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছোট ভাই সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জয়লাভ করেছিলো।

পত্র-পত্রিকার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাকশাল প্রতিষ্ঠার পর চারটি পত্রিকা ছাড়া অন্য পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো এটা সঠিক কিন্তু কোনো পত্রিকার কোনো সাংবাদিক বেকার থাকেননি। বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক এনায়েতুল্লাহ খান, গিয়াস কামাল চৌধুরীসহ পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন। সেই কমিটির সুপারিশে তথ্য অধিদফতর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, কাস্টমস, জুট মিল, বস্ত্র করপোরেশনে সব সাংবাদিকের চাকরি হয়েছিলো।

সাংবাদিকরা এ সময় আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে জিততে বিদেশমুখী নীতি নিচ্ছে কিনা-এ প্রশ্ন করলে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, দেখুন রাত-বিরাতে কারা বিদেশিদের কাছে যায় আর কারা বিদেশিদের দাওয়াত খাওয়ায় সেটা তো পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশনেই প্রকাশ হচ্ছে। আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বলীয়ান, অন্য কোনো কিছুর শক্তিতে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় গেছে জনগণের ওপর ভর করেই, জনগণের সমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় গেছে। আর তারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় গেছে, পেছনের দরজা দিয়ে অবৈধভাবে দল গঠিত হয়েছে। সুতরাং তারা পেছনের দরজাটা পছন্দ করে। হায়েনা যখন শিকার করে পেছন দিকে কামড় দেয়। বিএনপিও পেছনের দরজা পছন্দ করে।

বিশেষ অতিথি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দেশ পরিচালনার অন্যতম মূল যে কথা ছিলো, জনগণ এ দেশের মালিক, জনগণকে সেবা করা আমাদের দায়িত্ব। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নানাভাবে গণতন্ত্র চর্চা করা হয়। বঙ্গবন্ধু যদি সময় পেতেন, তাকে সপরিবারে ১৫ আগস্ট হত্যা করা না হতো, বাকশাল বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য মডেল হতে পারতো, কারণ তারা দেখতো, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ১৯৭৫ সালে দেশে মানুষের মাথাপিছু আয় ছিলো দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। এমন কি চীন দেশের মাথাপিছু আয়ের চেয়েও বেশি। আজকে চীনের মাথাপিছু আয় ১০ হাজার ডলারের ওপরে। প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে হত্যাকারীরাই দীর্ঘদিন এ দেশ পরিচালনা করেছে এবং তারা বাকশালকে নানাভাবে ভুল ব্যাখ্যা করেছে, বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
খুব বেশি পরিবর্তন নেই, বরাদ্দের সদ্ব্যবহার হোক

বাজেটে স্বাস্থ্যখাত খুব বেশি পরিবর্তন নেই, বরাদ্দের সদ্ব্যবহার হোক

মাসিক স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে ফ্রেশ অনন্যা এবং পিএজিএসবি’র প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত

মাসিক স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে ফ্রেশ অনন্যা এবং পিএজিএসবি’র প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত

সিগারেটে অতিরিক্ত ২০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের সুযোগ হাতছাড়া করলো এনবিআর

সিগারেটে অতিরিক্ত ২০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের সুযোগ হাতছাড়া করলো এনবিআর

টানা ৬ দিন সেবাহীন, সংকট কবে কাটবে তাও জানা নেই

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট টানা ৬ দিন সেবাহীন, সংকট কবে কাটবে তাও জানা নেই

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট দিলেন অর্থ উপদেষ্টা

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট দিলেন অর্থ উপদেষ্টা

অনুশোচনা থেকে অবসরের ঘোষণা ম্যাক্সওয়েলের

অনুশোচনা থেকে অবসরের ঘোষণা ম্যাক্সওয়েলের

আমিনুলকে বিসিবির পরিচালক মনোনীত করার বৈধতা নিয়ে ফারুকের রিট তালিকা থেকে বাদ

আমিনুলকে বিসিবির পরিচালক মনোনীত করার বৈধতা নিয়ে ফারুকের রিট তালিকা থেকে বাদ

উপদেষ্টা পরিষদের নতুন অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন

উপদেষ্টা পরিষদের নতুন অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন

মুম্বাই হারতেই কেঁদে ফেললেন হার্দিক, ভিডিও ভাইরাল!

মুম্বাই হারতেই কেঁদে ফেললেন হার্দিক, ভিডিও ভাইরাল!

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল

মেজর সিনহা হত্যা ওসি প্রদীপ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল

সব খবর

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

আমাদের কথা যোগাযোগ শর্তাবলি ও নীতিমালা গোপনীয়তা নীতি বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা

অনুসরণ করুন

BK Family App

২০২৫ ভোরের কাগজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

কর্ণফুলি মিডিয়া পয়েন্ট, ৩য় তলা, ৭০ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক, মালিবাগ, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ | পিএবিএক্স : ০৯৬১২১১২২০০, ৫৮৩১৬৪৮৩, ৮৩৩১০৭৪, বিজ্ঞাপন : ৫৮৩১৩০১৩, ০৯৬১২১১২২০০ (Ex-113) সার্কুলেশন : ৫৮৩১৩০১৩, ০৯৬১২১১২২০০ (Ex-130), ফ্যাক্স : ২২২২২২৭৩৪ | ই-মেইল : bkagojnews@gmail.com, bkagojadvt@gmail.com

অনলাইন: ০৯৬১২১১২২০০ (Ex-133, 134) | ই-মেইল : bkagojonline@gmail.com