জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ঢাকার ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালত। একইসঙ্গে দল থেকে বহিষ্কৃত শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতাকে স্বপদে বহালের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকার ১ম যুগ্ম জেলা জজ মো. নুরুল ইসলাম এই আদেশ দেন।

আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ অন্য বহিষ্কৃত নেতাদের অব্যাহতির আদেশ অবৈধ। ফলে তারা আগের মতই স্বপদে বহাল থাকবেন।

স্বপদে পুনর্বহাল হওয়া অন্যান্য নেতারা হলেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলাইমান আলম শেঠ, জহিরুল ইসলাম জহির, নাজমা আক্তার, মোস্তফা আল মাহমুদ, আরিফুল রহমান, নাসির উদ্দিন মাহমুদ, জসিম উদ্দীন জসিম ও দপ্তর সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক খান। 

আদালতের এই রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, এই ঐতিহাসিক রায় প্রমাণ করেছে, আইন ও ন্যায়বিচার এখনো জীবিত। সত্যকে নিশ্চিহ্ন করা যায় না এবং দলীয় গঠনতন্ত্রকে পায়ের নিচে ফেলা যায় না। স্বৈরতন্ত্র ও অবৈধ ক্ষমতা দখলের রাজনীতির বিরুদ্ধে এটি একটি স্পষ্ট বার্তা।

হাওলাদার বলেন, জাতীয় পার্টি কোনো একক ব্যক্তির মালিকানাধীন সংগঠন নয়। এটি লাখো মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম। আজকের রায়ের মাধ্যমে সেই প্ল্যাটফর্ম আবারও গণতন্ত্রের পথে ফিরেছে।

আরো পড়ুন : লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হলে নির্বাচনে অংশ নেবে জাতীয় পার্টি

তিনি আরো বলেন, এখন থেকে জাতীয় পার্টির সব স্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে পল্লীবন্ধু এরশাদের স্বপ্নের দল পুনর্গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। আমাদের মধ্যে আর কোনো বিভক্তি থাকবে না। সবাই প্রয়াত এরশাদের সৈনিক হয়ে জাতীয় পার্টিকে সাম্য, প্রগতি ও মানবিক বাংলাদেশের জন্য নিবেদিত করব।