
প্রিন্ট: ০২ জুন ২০২৫, ০৯:৪২ এএম
আরো পড়ুন
মৃত্যুর ৩৬ বছর পর হাজির এনআইডি কার্ডের মালিক

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৭:০৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের রেহান আলী মাতব্বরের বাড়িতে ঘটে গেলো এক আজবকাণ্ড। মৃত্যুর ৩৬ বছর পর এনআইডি কার্ড নিয়ে হাজির সিরাজ উল্লাহ নামের এক ব্যাক্তি।
জমির উল্লাহ চিশতির দুই পুত্র মো. মহিউদ্দিন ও সিরাজ উল্লাহ। সিরাজ উল্লাহ মৃত্যুবরণ করেন ১৯৮৮ সালের ৫ জুন। পরে ১৯৯২ সালের ২৮ মার্চ তার পিতা জমির উল্লাহও মৃত্যুবরণ করেন।
কিন্তু সম্পত্তির লোভে বরুমচড়া এলাকার মৃত কালা মিয়ার পুত্র মো. সিরাজ ওরফে বুইরগা সিরাজ উল্লাহ সেজে তথ্য গোপন করে নকল এনআইডি কার্ড তৈরি করেন। পরে এনআইডি কার্ড নিয়ে জমির উল্লাহর পুত্র সিরাজ উল্লাহ দাবি করে সম্পদ দখলের চেষ্টা শুরু করেন।
শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে উপজেলার টানেল সংযোগ সড়কের একটি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে মরহুম জমির উল্লাহ চিশতির ভাই মো. নাছির উদ্দিন এ দাবি করেন।
আরো পড়ুন: হঠাৎ অসুস্থ ডেপুটি স্পিকার, নেয়া হলো ঢাকায়
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. নাছির উদ্দিন বলেন, প্রতারক সিরাজ আমার মরহুম বড় ভাই জমির উল্লাহর শ্যালিকাকে বিবাহ করেছেন। সেই হিসেবে সিরাজ আমার বড় ভাইয়ের ভাইরা ভাই হয়। কিন্তু সম্পত্তি দখলে নিতে তিনি সব তথ্য গোপন করে আমার মৃত ভাতিজা সিরাজ উল্লাহ সেজে ২০১৭ সালে এনআইডি কার্ড তৈরি করেন। তার এনআইডি কার্ডে জন্ম তারিখ দিয়েছেন ১৯৬৫ সালের ১১ মে, অথচ আমার বড় ভাই মরহুম জমির উল্লাহর জন্ম তারিখ ১৯৬১ সালের ২২ জুলাই। সেই হিসেবে তারা পিতা-পুত্রের বয়সের পার্থক্য হয় ৩ বছর ৯ মাস, যা হাস্যকর।
এসব তথ্য নকল করার পর প্রতারক মো. সিরাজ বিভিন্ন নকল দলিল-কাগজপত্রও তৈরি করেছে। এখন তিনি আমাদের সম্পদ দখলের চেষ্টা করছেন। কোনো উপায়ন্তর না দেখে আমরা আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।
তবে বিষয়টি স্বীকার করে মো. সিরাজ বলেন, জমির উল্লাহ চিশতি আমার পীর তাই তিনি আমার আধ্যাত্মিক পিতা। আমাকে খেলাফত দিয়েছেন উনি। এ জন্য আমি আমার পূর্বের নাম ঠিকানা পরিবর্তন করে নতুন এনআইডি কার্ড তৈরি করেছি।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মরহুম সিরাজ উল্লাহর ওয়ারিশ মো. হেফাজ উদ্দিন, মো. হাশেম উদ্দিন, মো. জালাল উদ্দিন, মো. ফরিদ ও মো. নুরুল্লাহ।